স্বাস্থ্য ভাল রাখতে রোজ মেনে চলুন এই নিয়ম! একদম অমান্য করবেন না, অসুখ-বিসুখ থাকবে বহুদূরে

Published : May 13, 2025, 10:54 PM IST

কাজের ব্যস্ততার মাঝে অনেকেই নিজের জন্য সময় বের করতে পারেন না, ডায়েট বা ব্যায়াম করতে পারেন না। বিশেষ করে মহিলারা, তাদের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাস প্রতিদিন মেনে চললেই যথেষ্ট।

PREV
16
ঘুম থেকে উঠে পানি পান করুন:

সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস জল পান করা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। রাতে দীর্ঘক্ষণ জল না খাওয়ার ফলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। জল পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং বিপাকক্রিয়া (Metabolism) উদ্দীপিত হয়। এছাড়াও, এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। ঘরের তাপমাত্রার পানি পান করা ভালো। মাঝে মাঝে, সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে হালকা গরম জলও পান করতে পারেন।

26
কিছুক্ষণ বসে উঠে দাঁড়ানোর অভ্যাস করুন:

দীর্ঘক্ষণ একই ভঙ্গিতে বসে থাকা বা দাঁড়িয়ে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। প্রতি ৩০-৪৫ মিনিট অন্তর কিছুক্ষণ উঠে হাঁটাচলা করা বা দাঁড়িয়ে থাকা রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। ক্রমাগত বসে থাকার ফলে পিঠে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। অফিসে কাজ করা বা দীর্ঘক্ষণ একই জায়গায় থাকা ব্যক্তিদের এই অভ্যাসটি অবশ্যই মেনে চলা উচিত।

36
স্ট্রেচিং :

প্রতিদিন কিছুক্ষণ স্ট্রেচিং করলে শরীরের নমনীয়তা বৃদ্ধি পায়। এটি পেশী শিথিল করে এবং জয়েন্টের নড়াচড়া উন্নত করে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর অথবা কাজের ফাঁকে কিছুক্ষণ স্ট্রেচিং করলে শারীরিক ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। যোগব্যায়াম এবং অ্যারোবিক্সের মতো ব্যায়ামের আগে স্ট্রেচিং করলে আঘাতের ঝুঁকি কমে।

46
পিছনের দিকে হাঁটা :

সাধারণত হাঁটার চেয়ে পিছনের দিকে হাঁটা শরীরের জন্য বিভিন্ন উপকার করে। এটি পায়ের পেশীকে শক্তিশালী করে, শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং জয়েন্টের উপর চাপ কমায়। বিশেষ করে যাদের হাঁটুর ব্যথা আছে তাদের জন্য এটি একটি ভালো ব্যায়াম। শুরুতে ধীরে ধীরে এবং সাবধানে পিছনের দিকে হাঁটার অভ্যাস করুন।

56
ঠান্ডা জলে গোসল :

ঠান্ডা জলে স্নান করা একটু কষ্টকর হলেও, এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এটি রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, মেজাজ ভালো রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। ঠান্ডা জল শরীরে শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও, এটি ত্বক এবং চুলকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। শুরুতে কয়েক সেকেন্ড ঠান্ডা পানিতে গোসল করে, ধীরে ধীরে সময় বাড়াতে পারেন।

66
ভূমধ্যসাগরীয় ডায়েট :

ভূমধ্যসাগরীয় ডায়েট স্বাস্থ্যকর ডায়েটগুলির মধ্যে একটি। এতে বেশি করে শাকসবজি, ফলমূল, গোটা শস্য, ডাল এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট (যেমন জলপাই তেল) থাকে। মাছ এবং মুরগির মাংস মাঝারি পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং লাল মাংস কম খাওয়া উচিত। এই ডায়েট হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।

click me!

Recommended Stories