
আত্মবিশ্বাসী, সহানুভূতিশীল এবং দায়িত্বশীল মানুষ গড়ে তোলার শুরু ছোটবেলা থেকেই। শৈশবে শিশুরা যা শেখে তা তারা কীভাবে বিশ্বের প্রতি সাড়া দেয়, সামাজিকভাবে সম্পর্কযুক্ত হয় এবং জীবনের সমস্যাগুলি মোকাবেলা করে তা নির্ধারণ করে। অল্প বয়সে শিশুদের মৌলিক জীবন নীতিগুলি শেখানো কেবল ভালো চরিত্রই গড়ে তোলে না, শিশুদের মানসিক এবং সামাজিক শক্তিও দেয়।
শিশুদের যত্ন নিতে এবং অন্যরা কেমন অনুভব করে তা ভাবতে শেখান। এটি কাজে দয়া দেখিয়ে, অনুভূতি নিয়ে আলোচনা করে এবং দয়ার কাজের প্রশংসা করে অনুশীলন করা হয়—শেয়ার করা বা কাউকে ধন্যবাদ দেওয়ার মতো ছোট ছোট কাজ।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ: সহানুভূতিশীল শিশুরা উন্নত সম্পর্কের সাথে মানসিকভাবে বুদ্ধিমান প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বেড়ে ওঠে।
প্রতিটি ব্যক্তির নিজস্ব স্থান পাওয়ার ধারণাটি উপস্থাপন করুন, আপনার সহ। তাদের আলিঙ্গনের জন্য আগে আসতে, অস্বস্তিকর অনুভূতি শেয়ার করতে এবং "না" শব্দটি ব্যবহার করা হলে সম্মান করতে শিক্ষিত করুন।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ: অল্প বয়সে সম্মতির বিকাশ আত্মসম্মানকে উৎসাহিত করে, গুন্ডামি রোধ করে এবং প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে স্বাস্থ্যকর সীমানার ভিত্তি সরবরাহ করে।
বাচ্চাদের তাদের অনুভূতিগুলি শনাক্ত করতে শেখান—সুখী, দুঃখী, রাগান্বিত, ভীত—এবং তাদের সাথে মোকাবিলা করতে শিখুন, যেমন গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস বা এটি নিয়ে আলোচনা করা।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ: যেসব বাচ্চারা তাদের আবেগের সাথে গঠনমূলকভাবে মোকাবিলা করতে শিখেছে তারা তাদের মানসিক চাপ এবং দ্বন্দ্ব সফলভাবে পরিচালনা করতে পারে।
ছোট ছোট জিনিস দিয়ে শুরু করুন—যেমন খেলনা পরিষ্কার করা বা পোষা প্রাণীর যত্ন নেওয়া—এবং বৃহত্তর দায়িত্বের দিকে এগিয়ে যান। তাদের ভুল করা ঠিক আছে কিন্তু সেগুলোর জন্য দায়িত্ব নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ তা মনে করিয়ে দিতে শেখান।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ: ভবিষ্যতের আত্ম-প্রেরণা, আত্ম-শৃঙ্খলা এবং কাজের নীতি তৈরি করে।
কেবল জয় বা উৎকর্ষতার জন্য নয়, প্রচেষ্টার জন্য প্রশংসা করুন। বিকাশমান মন শেখান: অনুশীলনের মাধ্যমে দক্ষতা এবং বুদ্ধিমত্তা বিকশিত হয়।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ: ব্যর্থতার ভয় রোধ করে এবং ব্যর্থতার সাথে মোকাবিলা করার সময় স্থিতিস্থাপকতা বিকাশ করে।
তাদের সঞ্চয়, কম খরচ এবং তারা যা চায় তার জন্য অপেক্ষা করার মূল বিষয়গুলি শেখান। একটি পিগি ব্যাংক বা একটি সাধারণ খেলা এটিকে উপলব্ধি করা এবং মজা করা সহজ করে তোলে।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ: অর্থের প্রতি সচেতনতা উৎসাহিত করে এবং শিশুদের আবেগপ্রবণ কেনাকাটা বা অধিকারবোধ থেকে বিরত রাখে।