
পেঁপে খাওয়ার পর পরই দুধ খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে। পেঁপেতে থাকা কিছু এনজাইম দুধের প্রোটিনের সাথে বিক্রিয়া করে পেট ফাঁপা, গ্যাস এবং পেটে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। তাই পেঁপে খাওয়ার অন্তত এক ঘন্টা পর দুধ খাওয়া উচিত।
দুধের মতো ডিমেও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। পেঁপে খাওয়ার পর ডিম খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই মিশ্রণ কিছু লোকের বুকে জ্বালাপোড়াও করতে পারে।
পেঁপে এবং লেবু উভয়ই অ্যাসিডিক। একসাথে খেলে পেটে অ্যাসিড বেড়ে গিয়ে বুকে জ্বালাপোড়া, বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে। পেঁপে খাওয়ার পর কমলা, আঙ্গুরের মতো অন্যান্য টক সাইট্রাস ফলগুলিও এড়িয়ে চলা উচিত।
চায়ের ট্যানিন পেঁপের কিছু পুষ্টির শোষণে বাধা দিতে পারে। এছাড়াও, চা এবং পেঁপে উভয়ই শরীরে তাপ বাড়ায়, তাই এই মিশ্রণ কিছু লোকের অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
দই একটি দুগ্ধজাত পণ্য, তাই পেঁপে খাওয়ার পর পরই দই খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। দুধের মতোই দই পেঁপের সাথে বিক্রিয়া করে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
আনারসে ব্রোমেলেন নামক একটি এনজাইম থাকে যা পেঁপের এনজাইমের সাথে বিক্রিয়া করতে পারে। এই মিশ্রণ কিছু লোকের পেটে ব্যথা এবং হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই পেঁপে খাওয়ার কিছুক্ষণ পর আনারস খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
করলা তেতো স্বাদের। পেঁপে খাওয়ার পর পরই করলা খেলে কিছু লোকের বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে। এই দুটি খাবারের মিশ্রণ হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
পেঁপে খাওয়ার পর মশলাদার খাবার খেলে পেটে জ্বালাপোড়া হতে পারে। পেঁপে ইতিমধ্যেই হজমে সাহায্য করে, তাই মশলাদার খাবার আরও চাপ সৃষ্টি করে অস্বস্তি বাড়াতে পারে।
পেঁপে খাওয়ার পর পরই খুব ঠান্ডা পানীয় বা খাবার খেলে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যেতে পারে। এটি পুষ্টির শোষণে বাধা দেয় এবং পেটের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
তাই, পেঁপের সম্পূর্ণ উপকারিতা পেতে এবং হজমের সমস্যা এড়াতে, পেঁপে খাওয়ার অন্তত এক ঘন্টা পর উপরে উল্লিখিত খাবারগুলি খাওয়া উচিত।