Parenting Tips: শিশুকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে চান? এই আচরণ এড়িয়ে চলুন
Parenting Guides: অনেক সময় অজান্তেই সন্তানকে মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে ফেলেন বাবা-মা। এই মানসিক যন্ত্রণা শিশুদের সারাজীবন বহন করতে হতে পারে। এই কারণে বাবা-মায়ের সবসময় সতর্ক থাকা উচিত। সন্তানের সামনে অসংবেদনশীল কোনও আচরণ করা উচিত নয়।

শিশুদের সামনে ৭টি কাজ করা উচিত নয়, না হলে মানসিক যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হতে পারে
শিশুরা তাদের পারিপার্শ্বিকতা, বিশেষ করে তাদের বাবা-মায়ের কাজ দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়। কিছু আচরণ স্থায়ী মানসিক ক্ষত রেখে যেতে পারে, তাদের ভবিষ্যতের সম্পর্ক এবং মানসিক সুস্থতা গঠন করে। সুস্থ লালন-পালনের জন্য বাবা-মায়েরা তাদের বাচ্চাদের সামনে কখনই সাতটি জিনিস করা উচিত নয়।
সন্তানের সামনে দম্পতির কখনও ঝগড়া বা চিৎকার করা উচিত নয়, সতর্ক থাকা উচিত
ক্রমাগত তর্ক বা চিৎকারে শিশুরা অসুরক্ষিত বোধ করতে পারে। যার ফলে মানসিক চাপ এবং মানসিক অসুস্থতা দেখা দেয়। এর পরিবর্তে, শান্ত এবং সম্মানজনক যোগাযোগ অনুশীলন করুন।
সন্তানের সামনে কখনও অন্যদের সমালোচনা বা অপমান করা উচিত নয়, নেতিবাচক প্রভাব পড়বে
পরিবারের সদস্য-সহ অন্যদের সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলা শিশুদের সহানুভূতি এবং দয়া দেখানোর পরিবর্তে বিচার এবং সমালোচনা করতে শেখায়।
সন্তানের অনুভূতি কখনও উপেক্ষা করা উচিত নয়, মানসিক যন্ত্রণা স্থায়ী হতে পারে
যখন বাবা-মা কোনও শিশুর আবেগকে উপেক্ষা করেন, তখন তারা অবহেলিত বোধ করতে পারে এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে না। ফলে মানসিক সমস্যা থেকেই যায়।
সন্তানকে মিথ্যা বলা বা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা উচিত নয়, এতে তারা আঘাত পেতে পারে
শিশুরা তাদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে সততা শেখে। যদি তারা অসততা বা ভাঙা প্রতিশ্রুতি দেখে, তবে তারা পরবর্তী জীবনে বিশ্বাসের সমস্যায় পড়তে পারে।
শিশুকে কখনও কটূ কথা বলা উচিত নয়, এতে তাদের আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যেতে পারে
শব্দের ক্ষমতা আছে। ক্রমাগত সমালোচনা বা নাম ধরে ডাকা শিশুর আত্মবিশ্বাস এবং আত্ম-মূল্যকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
শিশুর সামনে বসে সারাক্ষণ টেলিভিশন বা মোবাইল ফোনের দিকে চোখ রাখা উচিত নয়
যদি বাবা-মায়ের চোখ সবসময় মোবাইল ফোন বা টিভিতে আটকে থাকে, তাহলে সন্তান অবহেলিত এবং মনোযোগের অযোগ্য বোধ করতে পারে, যা তাদের মানসিক বিকাশকে প্রভাবিত করে।
সন্তানের সামনে কখনও অনিয়ন্ত্রিত রাগ বা আগ্রাসন দেখানো উচিত নয়, এতে তাদের ক্ষতি হয়
শিশুরা যা দেখে তা অনুকরণ করে। যদি তারা অনিয়ন্ত্রিত রাগ প্রত্যক্ষ করে, তবে তারা আক্রমণাত্মক প্রবণতা অবলম্বন করতে পারে বা মানসিক নিয়ন্ত্রণে লড়াই করতে পারে।

