
গরমকালে শরীরকে ঠান্ডা রাখার জন্য উপযুক্ত খাবার খাওয়া জরুরি। কারণ গরমে শরীরে প্রচুর পরিমাণে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এর ফলে অনেকের মাথা ঘোরাও হতে পারে। শরীরে অতিরিক্ত পানিশূন্যতা রোধ করতে এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা জরুরি। এই পোস্টে ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ খাওয়ার মাধ্যমে আপনার স্বাস্থ্য কীভাবে উন্নত হয় তা দেখুন।
ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ খাওয়া গরমকালে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কিশমিশের গরম প্রকৃতি থাকলেও, ভিজিয়ে রাখলে তা শরীরকে ঠান্ডা করে। শরীরের তাপ বাড়ায় না। ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ খেলে শরীরের টক্সিন দূর হয়। শরীর হাইড্রেটেড থাকে। এটি হজমশক্তি উন্নত করতেও সাহায্য করে।
সকালে খালি পেটে ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ খেতে হবে। রাতভর পানিতে ভিজিয়ে সকালে খেতে পারেন। ভেজানো পানিও ভালো। এটিও পান করতে পারেন।
শরীরে জমে থাকা বর্জ্য পদার্থ দূর করতে খাদ্যাভ্যাসে সতর্ক থাকতে হবে। ভালো খাবারই ওষুধ হিসেবে কাজ করে। গরমকালে ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ খেলে শরীরের টক্সিন দূর হয়। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতেও সাহায্য করে।
গরমকালে অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। তাদের জন্য ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ সমাধান হতে পারে। কিশমিশে থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য করে। হজমশক্তি উন্নত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ খেতে পারেন। এটি অ্যাসিডিটি, বদহজমের মতো পেটের সমস্যাও সমাধান করতে সাহায্য করে।
কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং তামা থাকে। এটি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। রক্তের লোহিত কণিকা উৎপাদন বাড়াতে এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে কিশমিশ সাহায্য করে।
কিশমিশে থাকা পটাশিয়াম হৃদপিণ্ডকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ খেতে পারেন। রক্তচাপ কমলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।