ভারতকে ‘মা’ কেন বলা হয়, কীভাবে এর সূচনা? ‘ভারত মাতা কি জয়’ এবং ‘জয় হিন্দ’ স্লোগানের ইতিহাস জানুন। ১৮৫৭-এর বিদ্রোহ থেকে স্বাধীনতা পর্যন্ত, এই স্লোগানগুলির যাত্রা এবং এর স্রষ্টাদের গল্প।
"ভারত মাতা কি জয়” এবং “জয় হিন্দ”-এর পেছনে লুকিয়ে আছে সেই বিপ্লবী কাহিনী। জানুন কীভাবে আবেগে ভরা এই শব্দগুলি স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রতিটি হৃদয়ে জোশ ভরে দিয়েছিল।
29
ভারত শুধু দেশ নয়, এক অনুভূতি
প্রতিটি ভারতীয়র হৃদয়ে বাস করে এক সম্পর্ক, যা মা ও সন্তানের চেয়েও গভীর। ‘ভারত মাতা’র সাথে সম্পর্ক শুধু শব্দ নয়, প্রতিটি ভারতীয়র আত্মায় গাঁথা।
39
‘ভারত মাতা’ শুধু কল্পনা নয়
‘ভারত মাতা’ প্রথমে সাংস্কৃতিক প্রতীক হিসেবে উঠে আসে, যেখানে দেশকে দেবীরূপে দেখানো হয়। এই ধারণা নাগরিক ও দেশের মধ্যেকার আবেগের বন্ধনকে প্রতিফলিত করে।
অনেকে মনে করেন এই স্লোগান স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় উঠে আসে, কিন্তু এর মূল ১৮৫৭-এর বিদ্রোহে। বিপ্লবী আজিমুল্লা খান প্রথম “মাদার-ই-ওয়াতন, ভারত মাতা কি জয়” বলেন।
59
কে ছিলেন আজিমুল্লা খান?
১৮৫৭-এর বিদ্রোহের নায়ক আজিমুল্লা খান তার লেখনী দিয়ে বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়েছিলেন। তার গান “আমরা এর মালিক, হিন্দুস্তান আমাদের” প্রতিটি দেশপ্রেমিকের হৃদয়ে জোশ ভরে তোলে।
69
কিরণচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়?
কিছু প্রতিবেদন বলে “ভারত মাতা কি জয়” প্রথম ১৮৭৩ সালে কিরণচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় তার নাটক “ভারত জননী”তে ব্যবহার করেন। তারপর থেকে এই স্লোগান জনগণের কণ্ঠে পরিণত হয়।
79
‘জয় হিন্দ’ এর আসল জনক
‘জয় হিন্দ’ নেতাজির সঙ্গে জড়িত হলেও, এর রচয়িতা জয়ন-উল-আবিদ হাসান। জার্মানিতে নেতাজির সাথে সাক্ষাতের পর তিনি ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ’-এ যোগ দেন এবং এই স্লোগান দেন।
89
কেন ‘জয় হিন্দ’?
আইএনএ-র জন্য একটি ধর্মনিরপেক্ষ এবং ছোট অভিবাদন প্রয়োজন ছিল। প্রথমে “হিন্দুস্তান কি জয়” প্রস্তাব আসে, কিন্তু আবিদ হাসান “জয় হিন্দ” করেন – যা আজ প্রতিটি ভারতীয়র পরিচয়।
99
স্লোগান বদলায়, আবেগ থাকে
“বন্দে মাতরম”, “ভারত মাতা কি জয়” বা “জয় হিন্দ” প্রতিটি স্লোগান শুধু ধ্বনি নয়, দেশপ্রেমের প্রতীক। এই শব্দগুলি প্রতিটি প্রজন্মে গর্ব ও প্রেরণা জোগায়।