
আজকাল মহিলাদের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বাড়ছে PCOD বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজ়িজ়। এই সমস্যা মূলত হরমোনের ভারসাম্যহীনতা আর অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার ফলেই হয়ে থাকে বলে মত চিকিৎসকদের। তবে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই - একটু সচেতনতা আর নিয়ম মেনে চললেই PCOD নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
PCOD -এর কারণ:
হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে PCOs হয় ৷ মহিলাদের মধ্যে পুরুষদের টেস্টোস্টেরন হরমোন কিছুটা বেশি নিঃসৃত হয়। এটি ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। ফলে অনিয়মিত পিরিয়ড, ব্রণ, গোঁফ, দাড়ির মতো উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। এগুলি ছাড়াও, বন্ধ্যাত্ব, ওজন বৃদ্ধি, ঘাড়ের ত্বকের প্রভাব, চুল পাতলা হওয়া, উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা, কোষগুলিতে ইনসুলিন প্রতিরোধ তৈরী হয়।
কীভাবে কম করা যায়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, PCOD নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রথম শর্তই হল ওজন কমানো। তার জন্য দরকার নিয়মিত অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ধরণের এক্সারসাইজ করা দরকার।
আর দরকার খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন। বেশি করে শাকসবজি, ফল, বাদাম ও হোল গ্রেইন জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এড়িয়ে চলতে হবে তেল-মশলার খাবার, শর্করা, ফাস্ট ফুড।
এর সাথে ভরসা রাখতে পারেন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ঘরোয়া পানীয়তে। আসুন দেখে নেই কিভাবে বানানো যাবে।
উপকরণ : আধ চা চামচ জিরা, আজ চা চামচ জোয়ান, আধ চা চামচ ঘি, ১/৪ চা চামচ আদা পাউডার।
প্রণালী: প্রথমে একটি পাত্রে ঘি গরম করে তাতে বাকি মশলা দিয়ে ভালো করে ভেবে নিন। এবার তাতে অল্প অল্প করে দু কাপ জল দিয়ে নাড়তে থাকুন। মসলার জল ফোটে গাঢ় রং ও ঘন হয়ে এলে, গ্যাস বন্ধ করে দিন, ছেঁকে নিন তরপর।
দিনে একবার খালি পেটে এই জল খেয়ে দেখুন উপকার মিলবে। এই পানীয় শরীরে প্রদাহ কমায়। ঋতুচক্রের সময় শরীরে আয়রনের ঘাটতি হতে দেয় না। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। দীপক হার বাজিয়ে শরীর টক্সিন মুক্ত করে। এছাড়া মহিলাদের ঋতু চক্রের সময় ঋতুস্রাব, জরায়ুর সিস্ট এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
সারাংশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে প্রতি ৫ জনের মধ্যে একজনের PCOD রয়েছে। হালকা শরীর চর্চা ও খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনলে তো অবশ্যই তার সাথে ম্যাজিকের মত কাজ করবে এক ঘরোয়া পানীয়। রোজ সকালে খালি পেটে এক গ্লাস খেলেই মিলবে উপকার।
ঋতুচক্রের সমস্যা, পলিটিস্টিক ওভারি, পলিসিস্টিক ওভারি থেকে মুক্তির উপায়, PCOD, periods প্রব্লেম, Polycystic ovarian syndrome.