
এক পায়ের মোজা হারিয়ে গেলে অবশিষ্ট মোজা অথবা মোজার ইলাস্টিক নষ্ট হয়ে গেলে এগুলি ফেলে দেওয়া ছাড়া আর উপায় থাকে না। কিন্তু জানেন কি, এই একটিমাত্র মোজাই ঘরের নানা কাজ সহজে সেরে ফেলতে পারেন? মোজার এরকমই পাঁচটি অভিনব ব্যবহার রইলো, যা জানলে আপনি আর কখনও পুরনো মোজা ফেলবেন না।
১। ধুলো ঝাড়ার কাপড়
মোজার নরম কাপড় কাচ, আয়না বা টেবিল ল্যাম্প পরিষ্কারে দারুণ কার্যকর।একটি মোজা হাতে গলিয়ে নিয়ে গ্লাস টেবিল বা শো-পিস মুছলে কোনো দাগ বা ঘষা পড়ে না। ধুলো পরিষ্কারে কটন বা উলের মোজা সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
২। সিলিং ফ্যান পরিষ্কার
মোজা জড়িয়ে লাঠি বা হ্যাঙ্গারের সাহায্যে পাখার ব্লেড পরিষ্কার করা যায়। আবার ঝাড়ুর মাথায় মোজা পরিয়ে তাতে ভিনেগার বা জল স্প্রে করলেই কাজ আরও ভালো হয়। ঘরের সিলিং ফ্যানের ধার গুলো সহজেই ধুলোমুক্ত করা সম্ভব এই পদ্ধতিতে।
৩। ভঙ্গুর জিনিসপত্র প্যাকিং
ভ্রমণের সময় মোজায় ভরে নিন প্রসাধনী বা কাচের বোতল। যেমন- পারফিউম, নেলপলিশ, ছোট কোনো কাচের শিশি। মোজার নরম গঠন কাচের জিনিসপত্র ভাঙা থেকে রক্ষা করে।
৪। খেলার পুতুল বানানো
বাড়ির খুদেদের জন্য ঘরে বসে তৈরি করে নিতে পারেন পুতুল। মোজায় বোতাম সেলাই করে বা এঁকে চোখ বানিয়ে দিন। উল দিয়ে সেলাই কিরে তৈরি করুন চুল, এবং স্কেচ পেন দিয়ে আঁকুন মুখের অভিব্যক্তি। খেলার মাধ্যমে বাচ্চাদের সৃজনশীলতাও বাড়াবে।
৫। পোষ্যদের জন্য জুতো
পোষা কুকুর বা বিড়ালকে নোংরা জল বা কাদামাটি থেকে বাঁচাতে পায়ে পরিয়ে দিন পুরনো মোজা। বিশেষ করে বর্ষার দিনে বা রাস্তায় হাঁটার সময় এই মোজা পোষ্যের পায়ে সুরক্ষা দেবে। মোজাগুলো ধুয়ে আবারও ব্যবহার করা যায়।
সারাংশ একটি মজা হারিয়ে গেলে আমরা সাধারণত দ্বিতীয়টি ফেলে দি। এবার থেকে পুরনো অপ্রয়োজনীয় মজা দিয়েই পরিষ্কার করে নিতে পারবেন ঘর, বানাতে পারবেন বাচ্চার খেলার পুতুল।