
বর্ষা এলেই চারিদিকে একটা আলাদা সতেজতা ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এই সময়ে ঘরে স্যাঁতসেঁতে ভাব, পিচ্ছিল ফर्श, কীটপতঙ্গ এবং ময়লার সমস্যা বৃদ্ধি পায়। তাই বর্ষার জন্য ঘর কে প্রস্তুত করা জরুরি। বর্ষায় ঘরকে সুরক্ষিত ও সুন্দর রাখতে বেশি খরচ করার প্রয়োজন নেই। কিছু সহজ, সাশ্রয়ী ও সৃজনশীল টিপস মাধ্যমে আপনার ঘর নতুন মনে হবে এবং সবাই জিজ্ঞাসা করবে, এত বৃষ্টিতেও ঘর এত সুন্দর কীভাবে রাখছেন? আমরা এখানে কিছু চমৎকার ও সাশ্রয়ী সাজসজ্জা এবং ঘর পরিচর্যার টিপস দিয়েছি, যা ব্যবহার করে আপনি আপনার ঘরকে বর্ষায় সুন্দর, নিরাপদ ও সুগন্ধযুক্ত রাখতে পারবেন।
বর্ষায় ঘরের প্রবেশ দ্বার, বাথরুম এবং রান্নাঘরে জল জমা হওয়া স্বাভাবিক। এতে পিছলে পড়ার ভয় থাকে। এজন্য স্লিপ-প্রতিরোধী মাদুর ব্যবহার করুন। এগুলো বেশি দামি নয় এবং জল শোষণ করার সাথে সাথে পিছলে পড়া প্রতিরোধ করে।
বর্ষার মরশুমে স্যাঁতসেঁতে ভাবের কারণে ঘরে অদ্ভুত গন্ধ আসতে শুরু করে। এটি প্রতিরোধ করতে আপনি প্রাকৃতিক এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করতে পারেন যেমন – কর্পূর, এলাচ, লবঙ্গ বা লেবুর খোসা। এগুলো সুতির থলিতে ভরে ঘরের কোণে ঝুলিয়ে দিন। এতে ঘরে সবসময় সতেজতা বজায় থাকবে।
বর্ষা আসার আগে জানালা এবং দরজার সিল চেক করে নিন। যদি কোথাও জল রিসে তবে সেখানে রাবার সিল বা সিলেন্ট লাগান। এতে বৃষ্টির জল ঘরের ভিতরে ঢুকবে না এবং কাঠের দরজা-জানালার ফ্রেম নষ্ট হবে না।
বর্ষার মরশুমে বাইরের আবহাওয়া মেঘলা ও অন্ধকার হয়ে যায়। এই সময়ে ঘরের সাজসজ্জায় উজ্জ্বল রঙ যেমন হলুদ, কমলা, লাল, পীচ রঙের কুশন, বিছানার চাদর এবং পর্দা ব্যবহার করুন। এতে ঘরে ইতিবাচক শক্তি ও আলো বজায় থাকে।
বর্ষায় আবহাওয়া ঠান্ডা ও আর্দ্র থাকে, যা গৃহ উদ্ভিদের জন্য উত্তম সময়। আপনার বসার ঘর, বারান্দা বা জানালার ধারে মানি প্ল্যান্ট, স্নেক প্ল্যান্ট, পথোস, অ্যালোভেরা জাতীয় উদ্ভিদ লাগান। এগুলো ঘরকে সুন্দর করার সাথে সাথে বাতাস পরিশুদ্ধ করে।
কাঠের আসবাবপত্রে বর্ষায় স্যাঁতসেঁতে ভাব তাড়াতাড়ি আসে। এটি প্রতিরোধ করতে সময়ে সময়ে আসবাবপত্র শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে পলিশ করুন। চাইলে আসবাবপত্রের কাছে নুন বা কাঠকয়লার বাটি রাখতে পারেন, এটি আর্দ্রতা শোষণ করবে।
বৃষ্টিতে নোংরা ও ভেজা জুতা পুরো ঘর ময়লা করতে পারে। তাই প্রবেশ পথের কাছে একটি জুতার স্ট্যান্ড এবং ছাতার স্ট্যান্ড রাখুন। এতে ফर्श নোংরা হবে না এবং জল থেকে পিচ্ছিল হবে না।
বর্ষার দিনে যদি বিদ্যুৎ চলে যায় তবে মোমবাতি ঘরে আলোর সাথে সৌন্দর্য আনবে। বাজার থেকে সাজানো মোমবাতি আনুন অথবা নিজেই মোমবাতির জার তৈরি করুন। এছাড়াও, রঙিন আলো ঘরে উষ্ণ ও আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে।