ক্রনিক ব্যথায় ভুগছেন? ওষুধ ছাড়াও রয়েছে এক আশ্চর্যের সমাধান, চিরকালে মতো বিদায় নেবে যন্ত্রণা
বয়স বাড়লেই ব্যথা বাড়ে। ভারতে ক্রনিক ব্যথার সমস্যার ভুগছেন মোট জনসংখ্যার ২২.৫ শতাংশ মানুষ।
বিশ্বের বহু দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ ক্রনিক ব্যথার সমস্যায় ভোগেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যথার প্রকোপ বাড়ে। হাঁটু ও কোমরের ব্যথা তো আছেই এ ছাড়াও কাঁধ, মেরুদণ্ড, মাইগ্রেন, ঘাড়,হাত-সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা তো আছেই সঙ্গে আছে ক্যানসারের অন্তিম পর্যায়ের ব্যথাতে ভুগতে হয় অনেককে।
বিশেষ চিকিৎসার সাহায্যে বেশিরভাগ ব্যথার উপশম করা হয় কোনও কাটা ছেঁড়া ছাড়াই। ক্রনিক ব্যথার পেছনে খুব যে মারাত্মক কোনও কারণ থাকে তা নয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ডিজেনারেটিভ অর্থাৎ ক্ষয়জনিত কারণে ব্যথার সমস্যা হয়। অন্যদিকে টানা বসে কাজ, এক্সারসাইজের অভাবে ব্যথার সমস্যা বাড়ছে।
ব্যথার কষ্ট কমাতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অ্যানালজেসিক ওষুধ আর সার্জারির সাহায্যে চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু ব্যথার ওষুধ কোনও সমাধান নয়। ইন্টারভেনশনাল পেইন মানেজমেন্টের একটা অন্যতম দিক হল রিজেনারেশন থেরাপি। অর্থাৎ বয়স, খেলাধুলো ও অন্যান্য কারণে অস্থিসন্ধি, পেশি, টেন্ডন, লিগামেন্ট ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত বা ডিজেনারেটেড হলে রিজেনারেশন থেরাপির সাহায্যে চিকিৎসা করলে রোগী দীর্ঘ দিন সুস্থ থাকেন।
এই থেরাপিতে রোগীর শরীর থেকে রক্ত নিয়ে প্লেটলেট আলাদা করা হয়। প্লেটলেটে আছে আলফা গ্র্যান্যুয়েলস নামে এক বিশেষ গ্রোথ ফ্যাক্টর। এগুলি ক্ষতিগ্রস্ত অংশকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলে। ফলে ব্যথা সেরে যায়। স্টেরয়েড ইঞ্জেকশন দিয়ে সাময়িক ভাবে ব্যথা কমানো হলেও রিজেনারেশন থেরাপি দিয়ে ব্যথা সারানোর পদ্ধতিটি অনেক বেশি টেঁকসই। আলট্রাসাউন্ড গাইডেড এই থেরাপিতে ক্ষতিগ্রস্ত অংশতে ওষুধ দেওয়ায় এই থেরাপি দ্রুত কার্যকর হয়।