একটানা ১২-১৪ ঘন্টা বাড়িতে বসে কাজ করতে গিয়ে শরীরের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনই মেরুদন্ডের অবস্থাও একদম খারাপ। পিঠে-কোমরে ব্যথা স্পাইনাল কর্ডের সমস্যা বাড়ছে। এখনও যদি সচেতন না হন তাহলেই আসতে চলেছে ভয়ঙ্কর সমস্যা।
কোভিডের সময় থেকেই কলকাতা সহ গোটা দেশে চালু হয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম। এবং বেশ কিছু সংস্থায় তা এখনও চলছ । কিন্তু একটানা বাড়িতে বসে কাজ করলে শরীরের যেমন ক্ষতি তেমনই বাড়ছে সমস্যা। বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে দৈনন্দিন তালিকা থেকে এগুলো বাদ পড়ছে না তো, তাহলেই আসতে চলেছে ভয়ঙ্কর সমস্যা। দেখে নিন একনজরে।
বাড়িতে থেকে কাজ করতে গিয়ে কোনও কিছুরই হিসেব রাখছেন না অনেকেই। না সময়ের হিসেব না ঘুমের হিসেব। আর এতেই ডেকে আনছেন বড় বিপদ। বাড়িতে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। করোনার নানা খবর নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুম আসছে না। একদিকে বাড়ির কাজ অন্যদিকে অফিসের কাজ সামলাতে গিয়ে শারীরিক পরিশ্রম বেশি পড়ছে, আর তার প্রভাব পড়ছে ঘুমের উপর। একটানা ১২-১৪ ঘন্টা বাড়িতে বসে কাজ করতে গিয়ে শরীরের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনই মেরুদন্ডের অবস্থাও একদম খারাপ। পিঠে-কোমরে ব্যথা স্পাইনাল কর্ডের সমস্যা বাড়ছে। প্রতি বছর এই কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় ১০ কোটি মানুষ। এখনও যদি সচেতন না হন তাহলেই আসতে চলেছে ভয়ঙ্কর সমস্যা।
কাজের সময়ের বাইরে সমস্ত দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে নিজের একটি রুটিন বানিয়ে ফেলুন। সেই রুটিনের মধ্যেই নিজের ঘুমের সময় নির্ধারণ করুন। তবে দুপুরে খাওয়ার পর ঘুম একেবারেই নয়, রাতে ঠিক সময়ে ঘুম যেন হয় সেইদিকে খেয়াল রাখুন। বাড়িতে একটানা বসে কাজ করাটাও ভাল লক্ষণ নয়, তাই সময় করে একটু হাটাহাটি করে নিন। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে ঘুম ভাল নয়। ভাল ঘুম হলেও শরীরও ভাল থাকবে। যারা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন তাদের মধ্যে এই না ঘুমানোর প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। বিশেষত ১০ জনের মধ্যে ৭ জনই এই না ঘুম হওয়ার সমস্যায় ভুগছেন। যারা এই বাড়ি থেকে কাজ করছেন , তারা হাজারো কাজের মধ্যেও নিজের ঘুমের সময় বার করে নিন আলাদা করে। ল্যাপটপ নিয়ে যারা কাজ করছেন তারা বিছানায় বসে কাজ না করার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে কাজের জায়গাটি আলাদা করাই সবথেকে ভাল। ঘুমের সময় অফিস ভুলে রিল্যাক্স করুন। ঘুমানোর আগে হালকা ব্যায়াম করেও নিতে পারেন এতেও ঘুম ভাল আসবে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয হল ঘুমের সময় মোবাইলটা সবার আগে দূরে রাখুন।