
Friendship: কাজের ফাঁকে একটু সময় পেলেই বন্ধুদের সঙ্গে খেতে যাওয়া বা ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান সকলেই করেন। কিন্তু যদি আপনার বন্ধু প্ল্যান করলেই নানা অজুহাতে এড়িয়ে যায়, তবে সে অসামাজিক হতে পারে বা বন্ধুত্বের প্রতি তার আগ্রহ কম থাকতে পারে। যা অনেক কারণে হতে পারে—যেমন সে ব্যস্ত, বা Introvert (অন্তর্মুখী), বা বিষাদে ভুগছে, অথবা আপনার বন্ধুত্ব থেকে হয়তো সে সরে যেতে চাইছে, তাই খোলাখুলি কথা বলে কারণ বোঝার চেষ্টা করা, তাকে চাপ না দেওয়া, এবং তার সীমানাকে সম্মান জানানো গুরুত্বপূর্ণ।
Introvert বা অন্তর্মুখী স্বভাব: কিছু মানুষ সামাজিক মেলামেশার চেয়ে একা থাকতে পছন্দ করে। তাদের শক্তি সঞ্চয় করতে একা থাকা প্রয়োজন হয়। এটি অসামাজিকতা নয়, বরং তাদের ব্যক্তিত্বের অংশ।
মানসিক চাপ বা বিষণ্ণতা: বন্ধু যদি মানসিক চাপের মধ্যে থাকে বা বিষণ্ণতায় ভোগে, তবে সে সামাজিকতা এড়িয়ে যেতে পারে।
ব্যস্ততা: হয়তো তার জীবনে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ বা দায়িত্ব আছে যা তাকে ব্যস্ত রাখছে।
সম্পর্কের দূরত্ব: হতে পারে সে আপনার থেকে মানসিকভাবে দূরে সরে যাচ্ছে বা বন্ধুত্বে আগ্রহ হারাচ্ছে, যা স্পষ্ট নয়।
আত্মবিশ্বাসের অভাব: অনেক সময় আত্মবিশ্বাসের অভাবেও মানুষ সামাজিকতা এড়িয়ে যায়।
বারবার অজুহাত: যদি সে বারবার কোনো কারণ ছাড়াই বা ছোটখাটো অজুহাতে মিটিং এড়িয়ে যায়।
যোগাযোগে অনীহা: মেসেজ বা কল করলে দেরিতে উত্তর দেয় বা এড়িয়ে যায়।
আপনার কথা না শোনা: আপনার প্রয়োজনে পাশে থাকে না বা আপনার অনুভূতিকে গুরুত্ব দেয় না।
খোলাখুলি কথা বলুন: শান্তভাবে জিজ্ঞাসা করুন, "আমি লক্ষ্য করেছি তুমি আজকাল আমাদের প্ল্যানগুলো এড়িয়ে যাচ্ছো, সবকিছু ঠিক আছে তো?"।
তার সীমানাকে সম্মান করুন: যদি সে একা থাকতে চায়, তাকে জোর করবেন না। তার পছন্দকে সম্মান জানান।
নিজেকে দোষ দেবেন না: এটা তার সমস্যাও হতে পারে, আপনারও হতে পারে।
অন্যান্য বন্ধুদের সাথেও যোগাযোগ রাখুন: শুধু তার উপর নির্ভরশীল হবেন না। যদি সে বারবার এড়িয়ে যায় এবং কোনো কারণ না দেখায়, তবে বুঝতে হবে হয়তো সে এই বন্ধুত্ব থেকে সরে আসতে চাইছে বা তার জীবনে অগ্রাধিকার পরিবর্তিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে, দুঃখ পেলেও সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসাই ভালো হতে পারে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।