
কিউই পুষ্টিগুণে ভরপুর, যা প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে এবং ফাইবার, লুটেইন এবং বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। কিউই খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা কী কী?
একটি কিউইতে ৯০ মি.গ্রা. এর বেশি ভিটামিন সি থাকে, যা দৈনিক প্রয়োজনীয় পরিমাণের চেয়ে বেশি। "ভিটামিন সি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বাড়ায়, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কিউই সর্দি-কাশির সময়কাল এবং তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে। কোলাজেন উৎপাদনে ভিটামিন সি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। "কোলাজেন ত্বককে টানটান এবং তরুণ রাখে। কিউইতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দূষণ এবং সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
কিউইতে অ্যাক্টিনিডিন নামক একটি প্রাকৃতিক এনজাইম আছে যা প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে, যা খাবার হজমে সহায়তা করে। "পেঁপেতে প্যাপেইন বা আনারসে ব্রোমেলিনের মতোই অ্যাক্টিনিডিন প্রোটিন হজমে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়।
২০১৯ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কিউই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং তার উচ্চ ফাইবার (১০০ গ্রামে ৩.৩ গ্রাম) জন্য অন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
কিউইতে থাকা ফাইবার, পটাশিয়াম এবং ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ বীজের জন্য এটি হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। “কিউইতে থাকা পটাশিয়াম (১০০ গ্রামে ৩১২ মি.গ্রা) সোডিয়ামের প্রভাব প্রতিরোধ করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কিউইতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
মিষ্টি স্বাদের হলেও, কিউইতে গ্লাইসেমিক সূচক কম, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। "কিউইতে উচ্চ ফাইবার এবং পলিফেনল আছে, যা শর্করার শোষণ ধীর করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে।"
২০১৯ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কিউই টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং প্রি-ডায়াবেটিস আক্রান্তদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
২০১১ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে দুটি কিউই খেলে ঘুমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
কিউই সাধারণত নিরাপদ হলেও, কিছু লোকের জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কিউই অ্যালার্জি, কিডনিতে পাথর, হজমের সমস্যা এবং যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান তাদের কিউই পরিহার করা উচিত।
কিউই একটি সুষম খাদ্যতালিকার জন্য উপকারী হলেও, পরিমিত পরিমাণে খাওয়া জরুরি, বিশেষ করে যাদের অ্যালার্জি বা কিডনির সমস্যা আছে।