
বর্তমানে ইজ়রায়েল-ইরানের যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে ভারতের সোনার বাজারে। গত শনিবার ভারতে ২৪ ক্যারাটের ১ ভরি সোনার দাম এক লক্ষ টাকার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। রবিবারেও কলকাতায় ১০ গ্রাম সোনার দাম ৯৯,৭৫০ টাকা — অর্থাৎ মাত্র ২৫০ টাকা কম! এমন পরিস্থিতিতে সোনা কেনা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
অথচ বিয়েবাড়ি, অন্নপ্রাশন, উপনয়ন, জন্মদিন কিংবা বাড়ির ঘনিষ্ঠ নিমন্ত্রণে সোনা উপহার দেওয়ার রীতি রয়েছে। সোনার বাজার দর আকাশ ছোঁয়া হওয়ায় বাজেটের মধ্যে বা হাজার দশেক টাকায় আর সোনা কিনে উপহার দেওয়া চলে না। তবে একটু বুদ্ধি খাটালে পুরো গয়না না কিনেও, পরিকল্পনা ও রুচিশীল সোনার উপহার দেওয়া যে একেবারে অসম্ভব তা নয়। মাত্র ১০ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে তেমনি কিছু উপহারের সন্ধান রইল আপনাদের জন্য।
১। লকেট
দশ হাজার টাকায় ১ গ্রাম সোনা পাওয়া যাবে। এই এক গ্রাম সোনা দিয়ে ছোট্ট লকেট বানিয়ে উপহার হিসেবে দিতে পারেন আপনি। তাতে সামান্য ব্যক্তিগত ছোঁয়া দিতে নামের অক্ষর খোদাই করাতে পারেন। তা ছাড়া করাতে পারেন মিনাকারি নকশা বা জালের কাজ।
২। খোঁপার কাটা
একটু বুদ্ধি খরচ করলেই দশ হাজার টাকার মধ্যে মাত্র এক গ্রাম সোনা দিয়ে উপহার হিসেবে দিতে পারেন খোঁপায় গোঁজার কাটা। কাঠের তৈরি কাঁটার মাথায় গোঁজার পরে যেটুকু দেখা যায় সেই অংশে লাগিয়ে নিতে হবে সোনার কোনও কারুকাজ। তাতে বেশি সোনা লাগবে না।
৩। বালা
আজকাল এক হাতে বালা পরেন অনেকেই। এখন নানা রঙের নানা আকৃতির প্রবালের বালা পাওয়া যায়। তাতে ছোট ছোট সোনার নকশা করিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এতে একটু বড়, নজরে পড়ার মতো অথচ সাধ্যের মধ্যেই সোনার উপহার দেওয়া হলো।
৪। নেকলেস
পলার নেকলসও পাওয়া যায়। আবার অনেকে মুক্তো, কাঠের পুঁতি, ছোট ছোট রুদ্রাক্ষ দিয়ে নেকলেস বানিয়ে তার মাঝখানে জুড়ে দেন সোনার কারুকাজ করা ছোট্ট লকেট, বা সোনার ছোটো বল। এক্ষেত্রে কতটা সোনা দিতে চান, সেই বুঝে নকশা বেছে নিন।
৫। দুল
পলা বা কাঠের নকশাদার টুকরোর উপরে খোদাই করে দিন সোনার ছোট্ট বল বা চৌখুপি বা যে কোনও নকশা। স্মার্ট এবং সুন্দর সোনার দুল উপহার দিতে পারবেন।
৬। নাকছাবি
১ গ্রাম সোনায় নানা মাপের নাকছাবি হতে পারে। সাধারণ হিরে বসানো নাকছাবি বেছে না নিয়ে, একটু ভেবেচিন্তে সোনার কারুকার্য করা নকশা বেছে নিন। তাতে আপনার উপহার ছোট হয়েও আলাদা করে নজর কাড়বে।
৭। টিপ বা গিনি
সোনার টিপ উপহার দেন অনেকে। আপনি তেমন নকশাদার টিপ উপহার দিতে পারেন। আবার সোনার গিনিও দিতে পারেন। আধ গ্রাম সোনার গিনিও পাওয়া যায়। চাইলে এক গ্রাম সোনার গিনিও দিতে পারেন।
৮। ব্রেসলেট
মুক্তো বা অন্য যে কোনও পুঁতির ব্রেসলেটের মাঝে ছোট্ট সোনার নকশা। সেই নকশায় সোনার পাতের উপর নামের অক্ষরও খোদাই করে দিতে পারেন। এই ধরনের ব্রেসলেটকে বলা হয় চার্ম ব্রেসলেট। কম বয়সিদের এমন উপহার বেশি পছন্দ হবে।
৯। আংটি
সোনার আংটিও দিতে পারেন উপহার। আর তা-ও পাবেন বাজেটের মধ্যেই। এখন নানা রঙের পলার উপর সোনার নকশা খোদাই করে আংটি বানানো হয়। এগুলি কম বাজেটে, রঙিন, নজর কাড়া উপহার হতে পারে।
১০। চামচের সেট
সোনার গয়নার বদলে একটু অন্যরকম কিছু উপহার দেওয়া যায়। সোনা খোদাই করা চামচ উপহার দিতে পারেন প্রিয়জনকে । কাঠ বা ঝিনুকের চামচের হাতলে সোনা দিয়ে খোদাই করে দিন নাম বা কোনও নকশা। এক জোড়া চামচ সুন্দর বাক্সে মুড়ে দিন প্রিয়জনকে। আপনার উপহার পছন্দ হতে বাধ্য।