এসি বিদায়! এল বিজ্ঞানীদের অভিনব আবিষ্কার, আর ঘর ঠান্ডা করতে লাগবে না এই যন্ত্র

Published : Jun 16, 2025, 07:36 PM ISTUpdated : Jun 16, 2025, 07:37 PM IST
AC Temperature Limit

সংক্ষিপ্ত

এসি বিদায়! এল বিজ্ঞানীদের অভিনব আবিষ্কার, আর ঘর ঠান্ডা করতে লাগবে না এই যন্ত্র

গরমকালে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের বেশিরভাগটাই হয় এসি চালানোতে। এই খরচ কমাতে ও পরিবেশবান্ধব সমাধান দিতে মার্কিন বিজ্ঞানীরা এক অভিনব আবিষ্কার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পারডিউ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এমন এক সাদা রং তৈরি করেছেন, যা দেওয়াল বা ছাদে লাগালে ঘরের তাপমাত্রা ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম রাখা সম্ভব। সুতরাং গরম থেকে মুক্তি মিলবে এসি ছাড়াই।

গবেষকদের দাবি

গবেষকদের দাবি, এটি বিশ্বের সবচেয়ে ভাল সূর্যরশ্মি প্রতিফলক রং। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই রং সূর্যের ৯৮ শতাংশ রশ্মি এবং ইনফ্রারেড তাপ প্রায় সম্পূর্ণভাবে প্রতিফলিত করতে সক্ষম। ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জিওলিন রুয়ান বলেন, “এই রং দেওয়ালে বা ছাদে লাগালে ঘরের তাপমাত্রা বাইরের চেয়ে প্রায় ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম রাখা সম্ভব। বড় শহরে যেভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে, তাতে এই রং ভবিষ্যতের অন্যতম প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি হয়ে উঠতে পারে।”

কী দিয়ে তৈরি এই রং?

এই বিশেষ ধরণের সাদা রঙের মূল উপাদান হলো বেরিয়াম সালফেট বা Barium Sulfate। এটি একটি প্রাকৃতিক খনিজ, যা সূর্যরশ্মি প্রতিফলনে অত্যন্ত কার্যকর এবং পরিবেশবান্ধবও, কারণ এতে কোনও ক্ষতিকর রাসায়নিক নেই।

পরিবেশ ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর এই রং?

গ্রীষ্মকালে যে হারে এয়ার কন্ডিশনারের ব্যবহার বেড়ে যায়, তাতে বিদ্যুৎ খরচ এবং কার্বন নিঃসরণও বাড়ে কয়েক গুণ। এই রং ব্যাবহার করলে গ্রীষ্মকালে এসির উপর নির্ভরতা অনেকটা কমে যাবে। ফলে বিদ্যুৎ খরচ কমবে ও কার্বন নিঃসরণ হ্রাস পাবে, যা পরিবেশ রক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

পারডিউ বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই কয়েকটি বড় রঙ প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। গবেষকদের আশা, আগামী ১-২ বছরের মধ্যেই এই রং বাজারে পাওয়া যাবে। দাম নির্ভর করবে বাজারের চাহিদা ও উৎপাদন পরিমাণের উপর।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

ঝাঁ চকচকে অফিসে বসেও কাজ করতে আপনার ইচ্ছা নেই? তাহলে হতে পারে এই কারণগুলি
মদ্যপানেই স্বস্তি ও ফুরফুরে মন, জবাব পাওয়া যেতে পারে মানুষের পূর্বপুরুষের অভ্যেস বিবেচনায়