
আমাদের শরীর সবসময় পরিবর্তিত হচ্ছে, ফিটনেস ধরে রাখা কঠিন। ওজন ঠিক রাখতে ডায়েট, ব্যায়াম, অনেকেই নানা চেষ্টা করেন। কিন্তু 'কম খাও, বেশি নড়াচড়া করো' কারও কারও ক্ষেত্রে কেন কাজ করে না, সেটা দেখে নেওয়া যাক।
ফিটনেসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল শরীরের গঠন। প্রত্যেকের শরীর আলাদা। তাই ব্যায়ামের ক্ষেত্রেও পার্থক্য থাকে। একজনের জন্য যে ব্যায়াম কাজ করে, অন্যজনের জন্য নাও করতে পারে। নিজের শরীরের চাহিদা বুঝে ফিট থাকার উপায় খুঁজে নিন।
কারণ ২: হরমোন
হরমোন আমাদের শরীরের অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করে। তার মধ্যে শরীরের গঠন, ক্ষুধা, চর্বি জমা, সবই আছে। থাইরয়েডের সমস্যা, পিসিওএস, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, এমন অনেক সমস্যা আছে। হরমোনের ভারসাম্য না থাকলে ওজন কমানো কঠিন। এর জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাহায্য নিতে হবে।
কারণ ৩: মন ও আবেগ
মন ও আবেগ ভালো থাকলেই শরীর ভালো থাকে। মানসিক চাপ, ভয়, দুঃখ, এসব খাওয়ার অভ্যাস, ঘুম, ফিটনেস, সবকিছুতেই প্রভাব ফেলে। মাইন্ডফুলনেস, থেরাপি, মানসিক চাপ কমানোর কৌশল অবলম্বন করে এগুলো ঠিক করা যায়।
কারণ ৪: খাবারের মান
'কম খাও' মানে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া নয়। ক্যালরি কমালেই শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি নাও মিলতে পারে।
তার বদলে, পরিপূর্ণ খাবার, স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন, ফাইবার সমৃদ্ধ সুষম খাবার খান।
কারণ ৫: ব্যায়ামের ধরণ
সব ব্যায়াম একরকম নয়। ব্যায়ামের ধরণ, কতটা পরিমাণে করছেন, এসব ফিটনেসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। হাই-ইন্টেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং (HIIT), স্ট্রেংথ ট্রেনিং, কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়াম, এগুলো ওজন ঠিক রাখতে এবং পেশী গঠনে সাহায্য করে।
১. নিজের জন্য উপযুক্ত ফিটনেস পরিকল্পনা
নিজের শরীর কেমন, কী প্রয়োজন, তা বুঝে সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন।
২. স্ট্রেংথ ট্রেনিংয়ে মনোযোগ দিন
স্ট্রেংথ ট্রেনিং শরীরের গঠনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি ফিটনেস ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৩. সুষম খাবারে গুরুত্ব দিন
পরিপূর্ণ খাবার, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি যেন থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
৪. মাইন্ডফুলনেস অনুশীলন করুন
ধ্যান, যোগ, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, এগুলো মানসিক চাপ কমিয়ে মন ভালো রাখে। এটি ফিটনেসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৫. অগ্রগতি লক্ষ্য করে পরিবর্তন করুন
শুধু করলেই হবে না। নিজের পরিকল্পনা, ব্যায়াম, খাবার, শরীরে কী পরিবর্তন হচ্ছে, সেদিকে খেয়াল রেখে প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন আনুন।