
আজকাল অফিস এবং বাড়ির কাজে বেশিরভাগ মানুষ এতটাই ব্যস্ত থাকেন যে নিজেদের যত্ন নেওয়ার সময়ও পান না। এর প্রভাব সরাসরি স্বাস্থ্যের উপর পড়ে। আয়ু বাড়ানোর জন্য আমাদের সুস্থ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর আমরা যা খাই তা ভালোভাবে হজম হওয়াটাও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। সামগ্রিক সুস্বাস্থ্যের জন্য, সঠিক হজম প্রক্রিয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আমরা যে খাবার খাই তা ভেঙে পুষ্টি শোষণ করার জন্য এটি কঠোর পরিশ্রম করে।
তবে কখনও কখনও হজম প্রক্রিয়া ধীর বা অস্বস্তিকর হতে পারে। আমরা যে খাবার খাই তা ঠিকমতো হজম না হলে হজম ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। এছাড়াও শরীরের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই পরিস্থিতিতে হজমশক্তি বাড়াতে এবং খাবার দ্রুত হজম করতে খাওয়ার পর কিছু জিনিস করলেই হবে। এগুলি আপনাকে ভালো হজমে সাহায্য করবে।
হাঁটা হজমশক্তি বাড়ানোর অন্যতম কার্যকর উপায়। তাই আপনি খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটলে হজম পথের পেশীগুলিকে সক্রিয় করে পেট এবং অন্ত্রের মধ্য দিয়ে খাবারের চলাচলকে উদ্দীপিত করে। তাই, প্রায় ১০-১৫ মিনিট হাঁটলেই যথেষ্ট। ছোট্ট হাঁটার মাধ্যমে পেট ফাঁপা কমাতে পারেন, হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে পারেন এবং রক্ত সঞ্চালনকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে।
খাওয়ার পর এক গ্লাস গরম পানি বা কোনও ভেষজ চা পান করলে হজম ব্যবস্থাকে সুস্থ রাখা যায়। কারণ গরম পানীয় খাবার ভাঙতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে ভালো হজমশক্তি বাড়ানো যায়। বিশেষ করে আদা চা দুর্বলতা এবং বমি বমি ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
সাপ্লিমেন্ট
কখনও কখনও খাবার ভাঙতে অতিরিক্ত সাহায্যের প্রয়োজন হয়। এর জন্য আপনি হজমের জন্য সাপ্লিমেন্টগুলি গ্রহণ করতে পারেন। বিশেষ করে যদি আপনি পেট ফাঁপা বা অস্বস্তি অনুভব করেন তাহলে সাপ্লিমেন্টগুলি গ্রহণ করতে পারেন। কারণ এটি চর্বি, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটগুলিকে আরও দক্ষতার সাথে হজম করতে সাহায্য করে।
খাবার পর আনারস, পেঁপে போன்ற কোনও ছোট ফল খেতে পারেন। কারণ এটি হজমে সাহায্য করে। আনারসে থাকা প্যাপেইন போன்ற প্রাকৃতিক উৎসেচক প্রোটিন ভেঙে হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও খাবার পর কোনও ফল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং অন্ত্রের চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রোবায়োটিকস
দই ইত্যাদিতে প্রোবায়োটিকস প্রচুর পরিমাণে থাকে। খাবার পর প্রোবায়োটিকস সমৃদ্ধ খাবার আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করলে আপনার হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। প্রোবায়োটিকস অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা, অম্বল போன்ற সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
মানসিক চাপ থাকলে ধীর হজম হয়। তাই হজমশক্তি বাড়াতে খাওয়ার পর কিছুক্ষণ গভীর শ্বাস বা ধ্যান করতে হবে। এতে মানসিক চাপ কমবে এবং আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করবে। এতে দ্রুত হজম হবে।
ঘুমাবেন না!
খাওয়ার পর যা করা উচিত নয় তা হল ঘুমানো। খাবার পর ঘুমালে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায় এবং অস্বস্তির কারণ হয়। এতে খাবার হজম হতে অনেক সময় লাগে।