
সময় জানার জন্য এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়, কিন্তু একসময় ঘড়ি বেশি ব্যবহৃত হত। বিশেষ করে বাইরে বের হওয়ার সময় হাতে ঘড়ি পরার সংস্কৃতি বেশি ছিল... এটি ধীরে ধীরে স্টাইলে পরিণত হয়েছে।
এখনও অনেকেই স্টাইলিশ, বেশি বৈশিষ্ট্যযুক্ত স্মার্টওয়াচ পরতে পছন্দ করেন। অন্যদিকে, সেলিব্রিটিরা লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি টাকার ঘড়ি পরে দেখা যায়। তবে যতই দামি হোক না কেন, ঘড়ি বাম হাতেই পরা হয়।
কেন এই হাতেই পরতে হয়? ডান হাতে কেন পরা হয় না জানেন?ঘড়ি বাম হাতেই পরার কোনও বিশেষ কারণ নেই।
কেবলমাত্র সুবিধার জন্য এবং সহজেই ব্যবহার করার সুযোগ থাকে বলেই এটি করা হয়। বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৮৫-৯০% মানুষই ডানহাতি।
তারা সব কাজই ডান হাত দিয়ে করে। লেখা, খাওয়া, জিনিসপত্র ধরা ইত্যাদি কাজে ডান হাত বেশি ব্যবহৃত হয়।
বাম হাতে ঘড়ি পরার ফলে ডান হাত অবাধে কাজ করতে পারে। এছাড়াও এটি ঘড়ির ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি কিছু লিখছেন, তাহলে ডান হাতে ঘড়ি থাকলে অসুবিধা হবে... বাম হাতে থাকলে ডান হাত দিয়ে আরামে লিখতে পারবেন।
একসময় হাতঘড়ির পরিবর্তে পকেট ঘড়ি ব্যবহার করা হত... তাই জিন্স প্যান্টে একটি ছোট পকেট থাকত। সেখানে এই ঘড়ি রাখা হত। এখনও জিন্স প্যান্টে এই পকেটটি দেখা যায়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সৈনিকদের অস্ত্র ব্যবহারের জন্য দুই হাতের প্রয়োজন হত। ফলে পকেট ঘড়িতে সময় দেখা কষ্টকর হত। তখনই হাতঘড়ির ব্যবহার শুরু হয়। হাতঘড়িতে সময় ঠিক করার জন্য একটি ছোট ব্যবস্থা থাকে... এটি ঘড়ির ডানদিকে থাকে।
তাই বাম হাতে ঘড়ি পরলে ডান হাতের আঙুল দিয়ে ক্রাউন ঘোরানো সহজ হয়। এই নকশা এখনও প্রচলিত। আধুনিক স্মার্টওয়াচেও বেশিরভাগ বোতাম ডানদিকেই থাকে।
বাম হাতে ঘড়ি পরলে এর সুরক্ষা বজায় থাকে। ডান হাত দৈনন্দিন কাজে বেশি ব্যবহৃত হয়, তাই ঘড়িতে আঁচড় লাগা বা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বাম হাতে পরলে ঘড়ির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
শ্রমিক, খেলোয়াড়, কঠোর পরিশ্রমীদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাম হাতে ঘড়ি থাকলে কাজ করার সময় এর উপর প্রভাব, ঘর্ষণ থেকে এটি রক্ষা পায়। এর ফলে ঘড়ির স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পায়।