কীভাবে সন্তানকে সুস্থ আর সবল রাখবেন? রইল বাবা ও মায়েদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস
সন্তান লালন-পালন একটি কঠিন কাজ। শিশুদেরকে নিয়মানুবর্তিতা, মূল্যবোধ এবং জীবন দক্ষতা শেখানোর পাশাপাশি তাদের আবেগকে সম্মান করা এবং সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ।
Saborni Mitra | Published : Oct 18, 2024 12:35 PM IST
সন্তান লালন-পালন
সন্তান লালন-পালন সহজ কাজ নয়। সকল বাবা-মা তাদের সন্তানদের জন্য সেরাটা চান। সন্তানদের নিয়মানুবর্তিতা, মূল্যবোধ এবং জীবন দক্ষতা শেখানোর পাশাপাশি সুস্থ ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি।
সন্তান লালন পালনে জরুরি
নিরাপদ, স্থিতিস্থাপক এবং সদয় সন্তান লালন-পালনের জন্য, ছোটবেলা থেকেই তাদের দয়া ও সহানুভূতির গুরুত্ব শেখানো উচিত। সন্তানদের সাথে নিরাপদ সম্পর্ক গড়ে তোলাই তাদের জন্য সবচেয়ে মূল্যবান উপহার। কিন্তু যদি কোনও শিশু নিরাপত্তাহীন পরিচর্যাকারীর সাথে বড় হয়, তবে এটি তাদের ভবিষ্যতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
শিশুর অনুভূতিগুলোকে সম্মান
শিশুর অনুভূতিগুলোকে সম্মান করুন। অনুভূতি হলো নিউরো-কেমিক্যাল প্রতিক্রিয়া। শিশুরা এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। যখন শিশুরা নেতিবাচক বা কঠিন আবেগ নিয়ে আমাদের কাছে আসে, তখন তাদের লজ্জিত করার পরিবর্তে, সুস্থ উপায়ে তাদের সাথে আচরণ করা উচিত। এটি তাদের জীবনের পরবর্তী সময়ে কঠিন আবেগগুলোকে অতিক্রম করতে সাহায্য করবে।
প্রেরণা নিয়ন্ত্রণ
প্রেরণা নিয়ন্ত্রণ বিকাশে অনেক বছর সময় লাগে। শিশুদের জন্য তাদের প্রেরণা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে। এটি তাদের মানসিক এবং শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। তাই শিশুদের তাদের ইচ্ছাগুলো নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়ে ধৈর্য সহকারে বুঝিয়ে বলা উচিত।
সহানুভূতিশীল হওয়া জরুরি
আমরা যখন ভালো বাবা-মা হতে চেষ্টা করি, তখন আমরা চিন্তিত হই। তবে, সহানুভূতিশীল হওয়া, ভুল করা এবং সেগুলো ঠিক করার উপায় খুঁজে বের করা বেশি নিরাপদ।
শিশুদের মস্তিষ্কে কার্যকলাপ
পরিবেশগত দূষণ এবং শিশুদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপে বাবা-মায়ের প্রভাব কমানোর জন্য ব্যবহারিক প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের মস্তিষ্ক এবং মস্তিষ্কের কার্যকলাপ তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। তাদের বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার জন্য আমাদের তাদের সাথে ভালোবাসা, যত্ন এবং স্নেহের সাথে আচরণ করা উচিত।
নজর দেবেন এখানে
সন্তানদের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার চেয়ে, আমাদের কাজের উপর নজর দেওয়া উচিত। বাবা-মাকে দেখে শিশুরা অনেক কিছু শেখে। আমরা যদি চাই আমাদের সন্তানরা সম্মানজনক, বিবেচক এবং নিয়মানুবর্তী হোক, তাহলে আমাদেরও এমন হতে হবে।