
বর্তমান সময়ে শিশুরা ঘরে তৈরি পুষ্টিকর খাবারের বদলে চিপস, পিৎজা, বার্গার, ফ্রাইড চিকেন, চকোলেট বা অন্যান্য ফাস্ট ফুডের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে। কিন্তু ঘন ঘন এই ধরনের খাবার খেলে যে স্থূলতা, সংক্রমণ এবং অন্যান্য গুরুতর স্বাস্থ্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অভিভাবকদের জন্যও বাচ্চাকে স্বাস্থ্যকর বিশেষ করে শাক, সবজি, ফল খাওয়ানো মুশকিলের হয়ে দাঁড়ায়। এই প্রতিবেদনে সহজ কিছু কৌশল বিস্তারিত আলোচনা করা হলো আপনার শিশুর খাদ্যভ্যাস পরিবর্তনের জন্য।
১। বাড়িতেই উদাহরণ তৈরি করুন
বলা হয় শিশুরা মা-বাবার আয়না। আপনার পরিবারে নিয়মিত জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে শিশুরও একই অভ্যাস গড়ে উঠবে। তাই পরিবারের সবাই শিশুর সামনে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া শুরু করলে বাচ্চারাও দেখে হেলদি খাওয়া শিখবে।
১। দৈনন্দিন ডায়েটে পুষ্টিকর খাবার
মৌসুমি ফল, শাকসবজি, ডাল ও বাদাম রাখুন নিয়মিত ডায়েটে। কম চিনি, কম লবণ ও কম তেলে রান্না করুন। এতে ধীরে ধীরে শিশুর স্বাদ পাল্টাবে ও সে হালকা খাবারে আগ্রহী হবে।
৩। খাবারকে মজাদার ও সৃজনশীল করে তুলুন
শিশুরা রঙিন, মজাদার দেখতে ও ভালো ঘ্রাণযুক্ত খাবার খেতে পছন্দ করে। তাই খাদ্যকে আকর্ষণীয় করে তুলুন – স্যান্ডউইচে স্মাইলি মুখ, সবজি দিয়ে কার্টুন ফিগার, সবজি দিয়ে চিলা বা প্যানকেক, কুকি কাটার দিয়ে খাবারের আকর্ষণীয় আকার দিতে পারেন।
৪। রাস্তার খাবার বানান বাড়িতে
বার্গার, পিৎজা বা ফ্রাইড ফুড বাইরে থেকে না এনে ঘরেই স্বাস্থ্যকর উপায়ে তৈরি করে দিন বাচ্চাকে। এতে বাড়ির ভালো মানের তেল, মশলা ব্যবহার হবে কোনো প্রিসার্ভেটিভ বা ফুড কেমিকাল ছাড়াই।
৫। 'চিট ডে' বা ‘ট্রিট ডে’
জাঙ্ক ফুড পুরোপুরি বন্ধ না করে প্রতি ১০-১৫ দিন অন্তর একবার ছোট্ট ট্রিট দিন। এতে শিশুর বাইরের খাবারের প্রতি লোভ আকর্ষণ নিয়ন্ত্রিত থাকবে। তবে দোকান কেনার সময় স্বাস্থ্যকর, ভালো মানের ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকটি মাথায় রাখুন।