পুজোর বাজার শুরু করার আগে যদি মনে করেন জামদানি শাড়ি কিনবেন তাহলে অবশ্যই জেনে নিন কি করে বুঝবেন আপনি যে জামদানি শাড়িটি কিনছেন সেটি আসল না নকল।
জামদানি শাড়ি মানেই ঐতিহ্যের ছোঁয়া। এই শাড়িতে রয়েছে আধুনিকতা। কিন্তু বর্তমানে নকলনবিশদেরও পোয়াবারো। তাই শাড়ির বাজারও ছেয়ে গেছে নকল শাড়িতে। কিন্তু প্রায় একই। তাই পুজোর বাজার শুরু করার আগে যদি মনে করেন জামদানি শাড়ি কিনবেন তাহলে অবশ্যই জেনে নিন কি করে বুঝবেন আপনি যে জামদানি শাড়িটি কিনছেন সেটি আসল না নকল।
আসল জামদানি শাড়ি হয় হাতে বোনা। তাই নকশাও হয় খুব সূক্ষ। নিখুঁত হয় এই শাড়ির গোটা বুননটাই। মনে রাখবেন আসল জামদানিতে শাড়ির কোনও অংশই বেরিয়ে থাকে না। আসল জামদানি শাড়ির সামনে আর পিছনের দিকেন বোনায় কোনও ফারাক থাকে না। সিল্ক বা সুতোর হয় আসল জামদানি শাড়ি। সুতোর কাউন্টের ওপরই নির্ভর করে শাড়ির দাম ও মান। সূতো যত বেশি চিকন হবে আর সুক্ষ হবে ততই নিখুঁত হবে নকশা। আর ততই বেশি হবে দাম। মনে রাখবেন সুতো বেশি হলকা হবে বুনতে অনেক বেশি সময় লাগে।
আরও একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন আসল জামদানি শাড়ির নকশা কিন্তু পুরোটায় থাকে না। শাড়ির যে অংশটা কোমরে গোঁজা থাকে সেখানটা খালি রাখা হয়। কারণ তাঁতে বোনার সময় এই অংশটা আটকে রাখা হয়। কিন্তু মেশিনে বোনা নকল জামদানি শাড়ির পুরোটা জুড়ে থাকে নকশা।
আসল জামদানি শাড়ি শুরুই হয় ৩ হাজার টাকা থেকে। এক লক্ষ টাকার জামদানি শাড়িও রয়েছে। তীই দাম দিয়ে জামদানি কেনার আগে অবশ্যই জেনে নিন সেটি আসল না নকল।
একটি জামদানি তৈরি করতে একজন তাঁতিকে গড়ে ১২-১৪ ঘণ্টা কিন্তু কাজ করতে হয়। শাড়ির ডিজাইনের উপরই কিন্তু সব নির্ভর করে। তাই একটা জামদানি শাড়ি বুনতে সময় লাগে ১ সপ্তাহ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত। আর মেশিনে বোনা শাড়ি সপ্তাহে ৮-১০টি তৈরি করা হয়। তাই এর দামও কিন্তু অনেক কম হয়।