সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সম্পর্ক ভাঙার অন্যতম কারণ হল স্ক্রিনশট। সঙ্গী সম্পর্কে থেকেও অন্য কারও সঙ্গে মেসেজে ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন। আর সেই স্ক্রিনশট এখন আপনার হাতে। ব্যস সম্পর্কের ইতি।
আবার হয়তো জানতে পারলেন, আপনার সঙ্গে বছরের পরে বছর পেলব সম্পর্ক রাখার পাশাপাশি, সঙ্গী আরও এক জায়গায় খাতা খুলে রেখেছেন। লং ডিসট্যান্স রিলেশন হলে তো কোনও কথাই নেই। আর এমন সম্পর্কও কেউ টিকিয়ে রাখবেন এত উদার কেউ এখনও হননি। স্বাধীনতা আর স্বেচ্ছাচারিতার মধ্যে কিছু ফারাক তো আছেই।
কিন্তু এ তো গেল একেবারে অন্তিম পর্যায়ের প্রতারণার কথা। কিন্তু দৈনন্দদিন জীবনে, প্রায় সব সম্পর্কেই এমন কিছু ঘটতে থাকে যাকে এক প্রকারের চিটিং বা প্রতারণাই বলে। সাদা চোখে একে প্রতারণা না বলা হলেও ,এ রকম খুচরো প্রতারণা অনেকেই করে থাকেন। একে মাইক্রো চিটিং বলা হয়। তবে দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর নয় এই মাইক্রো চিটিং। দেখে নেওয়া যাক ঠিক কোন কোন কাজগুলিকে মাইক্রো চিটিং বলা হয়-
১) সম্পর্কে থেকেও বলে বেড়াচ্ছেন আপনি সিঙ্গল। একে কিন্তু মাইক্রো চিটিং বলাই যাই। সঙ্গীকে অন্যদের সামনে স্বীকার না করা কিন্তু বেশ অসম্মানের। তবে যদি দু জনে মিলে কথা বলে সম্পর্ক গোপন রাখার সিদ্ধান্ত নেন, তা হলে অন্য বিষয়।
২) যে কোনও সম্পর্কে মন কষাকষি হয়। ঝগড়া, মান অভিমান হয়। কিন্তু এই ঝগড়া অভিমানের সময়ে যদি আপনি মনে করেন, আগের সম্পর্কটাই ভাল ছিল এবং এই ভেবে নিজের মেজাজ ঠিক করতে প্রাক্তন সঙ্গীর কাছে ছোটেন তাহলে কিন্তু এই সম্পর্ক মোটেই দীর্ঘমেয়াদী হবে না। প্রাক্তন সঙ্গীর কাছে প্যাম্পার্ড হওয়ার কথা বরং বর্তমান সঙ্গীকে জানিয়ে দিন।
৩) কথায় আছে পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। কিন্তু পুরনো প্রেমেও কি তাই! বর্তমান সঙ্গীকে টেকেন ফর গ্রান্টেড করে প্রাক্তনকে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টক করছেন! আবার ইচ্ছে মতো তাঁর প্রোফাইলে গিয়ে কমেন্ট করে আসছেন। একেও কিন্তু মাইক্রো চিটিং বলা যায়। তবে সঙ্গীর সঙ্গে সমস্ত বোঝাপড়া থাকলে এ খুব একটা বড় সমস্যা নয়। কারণ প্রাক্তনের প্রোফাইল ঘেঁটে দেখে না এমন মানুষ খুব কমই রয়েছে।
৪) সম্পর্কে রয়েছেন বলে কারওকে ভাল লাগবে না, তা হতে পারে না। ভাল লাগার মানুষের সঙ্গে কথাও বলা যায়। কিন্তু নিজের সম্পর্কে তৈরি হওয়া ফাঁকে যদি সেই ভাল লাগার মানুষকে ঢুকতে দেন তা হলে কিন্তু তাকে এক ধরনের প্রতারণাই বলে।
৫)হয়তো অফিসে বা কোন কাজের ক্ষেত্রে আপনার ভাল লাগার মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। ঠিক তখনই দেখলেন আপনার সঙ্গী ফোন করছেন। পছন্দের মানুষ সামনে রয়েছে বলে আপনি ফোনটাই কেটে দিলেন বা ধরলেন না। একটু পরে সেখান থেকে সরে হয়তো বাথরুমে গিয়ে ফোন করলেন। নিজের সঙ্গীকে এভাবে অস্বীকার করাও এক ধরনের প্রতারণা।