কেমন চরিত্রের মানুষ আপনি, জানাবে আপনার চ্যাটে ব্যবহার করা ইমোজি

Published : Mar 16, 2022, 01:53 PM IST
কেমন চরিত্রের মানুষ আপনি, জানাবে আপনার চ্যাটে ব্যবহার করা ইমোজি

সংক্ষিপ্ত

জানেন কী আপনার ব্যবহার করা ইমোজি, আপনার চরিত্র বলে দিতে পারে ? অবাক করা তথ্য হলেও এটা সত্যি। আপনি কি জানেন প্রায় এক হাজারেরও মত ইমোজি আমরা ব্যবহার করে থাকি।

চ্যাটে প্রচুর ইমোজি (emojis) ব্যবহার করেন কি? স্মার্টফোনের যুগে মেসেজ (Message) বা টেক্সটিং (Texting) ইমোজি ছাড়া ভাবাই যায় না। ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে (Virtual world) মনের ভাব প্রকাশ করার জন্যই ইমোজির জুড়ি মেলা ভার। এক সমীক্ষা বলছে প্রতিদিন ফেসবুকে ৭০ কোটি ইমোজি পাঠানো হয়। প্রতিনিয়ত ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে কথা বলার সময়ে ইমোজি ব্যবহার করি আমরা। ইমোজি ছাড়া কথা বলা মানেই সেই কথোপকথনকে আমাদের অসম্পূর্ণ মনে হয়। আর সেটাই স্বাভাবিক। কারণ ইমোজির এক্সপ্রেশনগুলো যেন ভীষণভাবে মুহুর্ত বা ইমোশনগুলোকে বাস্তব করে তোলে অপর প্রান্তে থাকা মানুষটির কাছে। 

কিন্তু জানেন কী আপনার ব্যবহার করা ইমোজি, আপনার চরিত্র বলে দিতে পারে ? অবাক করা তথ্য হলেও এটা সত্যি। আপনি কি জানেন প্রায় এক হাজারেরও মত ইমোজি আমরা ব্যবহার করে থাকি। তবে এগুলো অনেক সময়ই কর্মক্ষেত্রের মেলের উত্তর দিতে বা প্রফেশনাল চ্যাটে অনেকে ব্যবহার করেন। তবে পেশাদাররা বলেন কর্মক্ষেত্রে ইমোজির ব্যবহার বেশি না করাই ভালো। এই ইমোজির ব্যবহার আপনার চরিত্রের বিশেষ দিক ফুটিয়ে তোলে। 

একটি নতুন সমীক্ষায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে যেসব কর্মীরা প্রায়শই তাদের ইমেলে ইমোজি এবং অন্যান্য গ্রাফিক্স ব্যবহার করেন তারা শব্দ ব্যবহার করে এমন কর্মীদের তুলনায় কম শক্তিশালী বলে মনে করা হয়। তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের কোলার স্কুল অফ ম্যানেজমেন্টের নেতৃত্বে গবেষণাটি 'অর্গানাইজেশনাল বিহেভিয়ার অ্যান্ড হিউম্যান ডিসিশন প্রসেস' জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে কর্মচারীরা যারা ইমেল, জুম প্রোফাইল বা এমনকি টি-শার্টে কোম্পানির লোগোতে ছবি এবং ইমোজি ব্যবহার করে তাদের কম কর্তৃত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। 

গবেষকদের মতে, "আজ আমরা সবাই ছবি দিয়ে যোগাযোগ করতে অভ্যস্ত, এবং সামাজিক নেটওয়ার্কগুলি এটিকে সহজ এবং মজাদার করে তোলে। কিন্তু গবেষণার রিপোর্টে ফল অন্য কথা বলছে। তাই প্রতিষ্ঠানের লোকেদের একটি ছবি বা ইমোজি পাঠানোর আগে দুবার ভাবুন, কারণ এতে আপনার চরিত্রের দুর্বলতাই প্রকাশ পাবে। 

ইউসিএসডি-র রেডি স্কুল অফ ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক পামেলা কে. স্মিথের সহযোগিতায় তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোলার স্কুল অফ ম্যানেজমেন্টের ডক্টর এলিনর অমিত এবং অধ্যাপক শাই ড্যানজিগার দ্বারা গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছিল। তাদের হাইপোথিসিস পরীক্ষা করার জন্য, গবেষকরা একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছিলেন যেখানে শত শত আমেরিকান উত্তরদাতাদের কাছে বিভিন্ন দৈনন্দিন পরিস্থিতি রাখা হয়েছিল। 

PREV
click me!

Recommended Stories

বাড়িতে সহজে চাষযোগ্য ৭টি শীতকালীন সবজি
কেন ঘড়ি মানেই বাঁ হাত? উত্তর লুকিয়ে আছে শরীরের স্বভাব আর শত বছরের ইতিহাসে