এখানে দুটি ধরণের এসেনশিয়াল অয়েল রয়েছে। আপনি আপনার ত্বকে দুটির যে কোনও একটি প্রয়োগ করতে পারেন এবং শুষ্ক ত্বক থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।
শুষ্ক ত্বক শুধু খারাপ দেখায় না, অনেক সমস্যারও সৃষ্টি করে। এই ধরনের ত্বক থেকে মুক্তি পেতে আপনি কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন। এটি করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল ঘরে তৈরি এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করা। এখানে দুটি ধরণের এসেনশিয়াল অয়েল রয়েছে। আপনি আপনার ত্বকে দুটির যে কোনও একটি প্রয়োগ করতে পারেন এবং শুষ্ক ত্বক থেকেও মুক্তি পেতে পারেন।
১) গোলাপ থেকে কীভাবে এসেনশিয়াল অয়েল তৈরি করবেন
একটি প্যানে জল ফুটিয়ে আলাদা করে রাখুন।
একটি কাচের পাত্রে এক কাপ তেল ঢালুন। এর জন্য সুগন্ধিমুক্ত তেল ব্যবহার করুন।
জলপাই তেল একটি ভাল বিকল্প হতে পারে।
আরও পড়ুন- বাচ্চার শরীর সুস্থ রাখার জন্য জল কতটা প্রয়োজনীয়, জানতে হলে ক্লিক করুন
এক কাপ গোলাপের পাপড়ি গুঁড়ো বা পিষে তেলে দিন।
- পাপড়ি কোট করতে বয়াম চারপাশে ঘূর্ণায়মান, কিন্তু ঝাঁকান না.
পাত্রটি ঢেকে গরম জলে রাখুন। তেল গরম করলে গোলাপের পাপড়ির গন্ধ বের হতে পারে।
আরও পড়ুন- কিডনি সমস্যা থাকলে এড়িয়ে চলুন এই খাবারগুলি, হতে পারে স্টোনের মত সমস্যাও
- জল ঠান্ডা হয়ে গেলে, আপনি বয়ামটি রোদে নিয়ে যেতে পারেন। এটি কমপক্ষে ২৪ ঘন্টার জন্য একটি উষ্ণ জায়গায় রেখে দিন।
২) কীভাবে লেবু থেকে এসেনশিয়াল অয়েল তৈরি করবেন
এটি করতে, কিছু লেবু ভাল করে ধুয়ে শুকিয়ে নিন।
তারপর ভালো করে এর খোসা ছাড়িয়ে নিন। শুধুমাত্র হলুদ অংশ বের করে আলাদা করতে হবে।
এবার জল গরম করুন এবং তারপর জ্বাল কমিয়ে দিন।
একটি পাত্রে লেবুর খোসা ছাড়িয়ে তাতে নারকেল তেল দিন।
আরও পড়ুন- পা ফাটার সমস্যা রয়েছে, মরশুম বদলের আগেই যত্ন নিন পায়ের
এবার এই পাত্রটি গরম জলে রাখুন এবং কম আঁচে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা ফুটতে দিন।
এবার এই খোসাগুলোকে ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য কিছুক্ষণ রেখে দিন।
- এই খোসাগুলো ছেঁকে তেল আলাদা করে নিন।
লেবু থেকে তৈরি এসেনশিয়াল অয়েল প্রস্তুত। একটি কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করুন এবং শুষ্ক ত্বক থেকে পরিত্রাণ পেতে ব্যবহার করুন।
বর্তমানে দিনে দিনে অ্যারোমাথেরাপিতে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এসেনশিয়াল অয়েল। দিনে দিনে এর চাহিদা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এই এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করার আগে এটা জেনে রাখা দরকার যে এই তেলগুলি শুধুমাত্র বাড়িতেই ব্যবহারের জন্য। এই ধরনের তেল বা এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করে কখনই সূর্যের আলোতে বা রোদে যাওয়া উচিৎ নয়। নয়তো ফল বিপরীত হতে পারে।