“আমি ব্রাহ্মণ নই। কিন্তু ব্রাহ্মণ না হলেও, আমি ব্রাহ্মণ শ্রেষ্ঠ। আমি বিশ্বামিত্র গোত্র। পুজো আধিকার সকলের আছে। আমি তাই আজ এখানে লক্ষ্মীকে পুজো করছি।” ধনদেবীর আরাধনা শেষে জানালেন মদন মিত্র।
কামারহাটির ১৪ নম্বর ওয়ার্ড অফিসে নিজের গলায় গান গায়ে ধনদেবীর আরাধনায় মগ্ন হলেন মদন মিত্র। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি গভীর আনুগত্যের প্রমাণ দিলেন বিধায়ক। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর পুণ্য তিথিতে নিজের কেন্দ্রের প্রতি কার্যালয়ে লক্ষ্মীর ভাঁড় রাখার ঘোষণা করলেন তিনি। তাতে জমা পড়া টাকা দরিদ্র মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানালেন সংবাদমাধ্যমকে।
রবিবার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় সমস্ত সাধারণ বাঙালির মতো যোগ দিলেন মদন মিত্রও। কামারহাটিতে নিজের হাতে লক্ষ্মীপুজো করলেন আজ। বললেন, "আমি মদন মিত্র। আমি ব্রাহ্মণ নই। কিন্তু ব্রাহ্মণ না হলেও, আমি ব্রাহ্মণ শ্রেষ্ঠ। আমি বিশ্বামিত্র গোত্র। পুজো আধিকার সকলের আছে। আমি তাই আজ এখানে লক্ষ্মীকে পুজো করছি। আমি পুজো শুরু করেছি 'এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে' গেয়ে।"
পুজোর আসনে বসেই মদন মিত্রের ঘোষণা, কামারহাটিতে দলের প্রতিটি কার্যালয়ে রাখা থাকবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। যে টাকা জমবে, তা দিয়ে যাঁরা চাকরি পাননি, তাঁদের সাহায্য করা হবে। নিজেই এই ভাণ্ডারের সূচনা করলেন ত্ণমূল নেতা। বিধায়কের বেতন থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ১০০১ টাকা জমা করলেন তিনি। জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পকে বছরভর চালিয়ে নিয়ে যেতেই এই উদ্যোগ। দলের কর্মীরাও উদ্বৃত্ত টাকা ভাঁড়ে জমা করবেন। সব কার্যালয়ে রাখা থাকবে মাটির ভাঁড়। “যাঁদের ঘরে অভাব রয়েছে, ওষুধ, জামা কিনতে পারছেন না, আমাদের ছেলেরা বিভিন্ন এলাকার বুথে বুথে গিয়ে প্রত্যেককে সাহায্য় করবে,” আশ্বাস মদনের।
রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ সম্পর্কে চাকরিপ্রার্থী ও রাজ্য সরকার, উভয়কেই দোষ না দিয়ে একেবারে কেন্দ্র সরকারের কোর্টে বল ঠেললেন বিবেচক মদন মিত্র। তাঁর বক্তব্য, "আমার প্রাপ্য যদি আমায় না দাও, তাতে সঙ্কট হবেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সরকারি কর্মীদের বেতন না দেন, তাঁরা সমস্য়ায় পড়বেনই। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় আমরা দিল্লির কাছে কর্মচারী। আমার টাকা আমার ছোঁয়ার অধিকার নেই। আমার টাকা তুমি সব নিয়ে চলে যাচ্ছ। ইচ্ছেমতো তার ভাগ দিচ্ছ। তাও সময়ে নয়। আজ ওষুধ কিনতে ১০০ টাকা লাগবে আমার। মারা যাওয়ার পর শ্রাদ্ধ মিটলে সেই টাকা দিলে কোন কাজে লাগবে!"
আরও পড়ুন-
লক্ষ্মী পুজোর সঙ্গে কীভাবে জড়িয়ে রয়েছে জেগে থাকার বার্তা? জানুন 'কোজাগরী'-র প্রকৃত অর্থ
শ্যালিকার মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক, এরপর নিজের মেয়ের সঙ্গে শারীরিক ঘনিষ্ঠতার লোভেই কি খুন হয়েছিলেন হাওড়ার রেলকর্মী?
অয়নের ত্রিকোণ প্রেম, নাকি প্রীতির সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়া, কোন কারণে তাকে সরিয়ে দিতে চাইল প্রীতির পরিবার?