মটন খেতে ভালবাসেন না এমন কি কেউ রয়েছেন? নেহাতই স্বাস্থ্যের কারণে বারণ না হলে এই পদ খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে চান না কেউই। মটন সুখা এমনই এক রেসিপি যা রুটি, পরোটা, নান যে কোনও কিছুরই দারুণ পার্টনার। আবার শুধু ভাতের সঙ্গেও খেতে পারেন। তবে দেখে নেওয়া যাক এর সহজে বানানোর পদ্ধতি।
মটন সুখা বানাতে লাগবে-
৫০০ গ্রাম মটন
২টা বড় মাপের পেঁয়াজ স্লাইস করা
২টা বড় মাপের পেঁয়াজ কুচনো
৫-৬ কোয়া রসুন কুচনো
১ ইঞ্চি আদা কুঁচনো
২ আঁটি ধনেপাতা কুঁচনো
আরও পড়ুন- মটন ভালোবাসেন! তবে চেখে দেখুন পেশোয়ার-ই-গোস্ত
৩টে ছোট এলাচ
৩-৪টে লবঙ্গ
১টা মাঝারি দারচিনি
১টা ছোট তেজপাতা
আধ কাপ নারকেল কুঁচি
২ চা চামচ গুঁড়ো হলুদ
৩ চা চামচ লঙ্কা গুঁড়ো
১ চা চামচ জিরে গুঁড়ো
১ চা চামচ ধনে গুঁড়ো
আধ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
স্বাদ মতন লবন
২-৩ টেবল চামচ তেল।
যে ভাবে বানাবেন-
ফ্রাইং প্যানে তেল গরম করে গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিন।
এরপর এতে পেঁয়াজ কুচি, আদা ও রসুন কুঁচি দিয়ে নাড়তে থাকুন।
আরও পড়ুন - ছুটির দিনের আড্ডা জমে উঠুক মুর্গ মালাই কাবাব-এর সঙ্গে
পেঁয়াজ বাদামি রং ধরতে শুরু করলে কুঁচনো নারকেল দিয়ে আরও ২-৩ মিনিট নেড়ে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন।
এরপর এতে অর্ধেক ধনেপাতা ও সামান্য জল দিয়ে মিহি করে বেটে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন।
অন্য একটি পাত্রে মটন, ২ চা চামচ ঘি, গুঁড়ো হলুদ, লাল লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, লবন ও ১ টেবল চামচ নারকেল, আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভাল করে ম্যারিনেট করে ৪৫ মিনিট মত রেখে দিন।
প্রেসার কুকারে ১ টেবল চামচ ঘি গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে নাড়তে থাকুন।
পেঁয়াজ সোনালি করে ভাজা হলে ম্যারিনেট করা মটনে দিয়ে দিন।
ঢাকা দিয়ে রান্না করুন যতক্ষণ না মটনের জল শুকিয়ে যাচ্ছে।
এ বার ৪ কাপ জল দিয়ে ৬-৭টা হুইসল উঠিয়ে মাংস সিদ্ধ করে নিন।
কড়াইতে বাকি ঘি গরম করে ১ টেবল চামচ নারকেল, আদা ও রসুন বাটা দিয়ে যতক্ষণ না বাটা মশলা তেল ছাড়ছে নাড়তে থাকুন।
এবারে নামিয়ে নিয়ে মনের মতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন গরম গরম মটন সুখা।