বেড়িয়ে আসুন ইটাচুনা রাজবাড়ি থেকে! সস্তা থেকে দামি, সব রকমের থাকার ব্যবস্থা জেনে নিন

  • সময়ের অভাবে লম্বা ছুটি নিয়ে বেড়াতে যেতে পারেন না অনেকেই
  •  কিন্তু তা বলে কি বাঙালির ভ্রমণ পিপাসাকে ধরে রাখা যায়! সেই তেষ্ট
  • মেটাতেই কলকাতা থেকে একেবারে কাছেই রয়েছে ইটাচুনা রাজবাড়ি

swaralipi dasgupta | Published : Jun 27, 2019 5:33 AM IST

সময়ের অভাবে লম্বা ছুটি নিয়ে বেড়াতে যেতে পারেন না অনেকেই। কিন্তু তা বলে কি বাঙালির ভ্রমণ পিপাসাকে ধরে রাখা যায়! সেই তেষ্টা মেটাতেই কলকাতা থেকে একেবারে কাছেই রয়েছে ইটাচুনা রাজবাড়ি। এই  মুহূর্তে এই রাজবাড়ি বাঙালির এক জনপ্রিয় বেড়ানোর স্পট হয়ে উঠেছে। গাড়ি নিয়ে হোক বা ট্রেনে তাই চট জলদি উইকেন্ড ভ্রমণের জন্য ইটাচুনা রাজবাড়ি যথাযথ। 

ইটাচুনা রাজবাড়ির আর এক নাম বর্গি ডাঙা। এই রাজবাড়ির মূল আকর্ষণই হল এখানকার আদর আপ্যায়ন।

ইটাচুনা রাজবাড়ির রয়েছে বড় ইতিহাস। বর্গী আক্রমণের পরে মারাঠা সৈন্যদের কিছু অংশ বাংলায় থেকে গিয়েছিল। তাদের বংশধরদের একজন রাজা সাফল্য নারায়ন কুন্ডু। 
এই কুন্ডু পরিবারের বংশের লোকেরাই ১৭৬৬ সালে ইটাচুনা রাজবাড়ি তৈরি করেছিলেন। বিশাল জায়গা নিয়ে তৈরি এই রাজবাড়ি। কিন্তু অনেকটা সময় খুব খারাপ অবস্থায় পরিতক্ত হয়ে পড়েছিল রাজবাড়ি। কিন্তু কিছু বছর আগে থেকে এই রাজবাড়ী কে আবার নতুন করে সাজিয়ে তোলেন এই বংশেরই উত্তরসূরিরা। তাই এখন ইটাচুনা রাজবাড়ি বাঙালির পর্যটনের এক বিশেষ আকর্ষণ।

 এই রাজবাড়িতে কয়েক বছর আগে লুটেরা ছবির শুটিংয়ের জন্য রনবীর সিং এবং সোনাক্ষী সিনহা কাজ করে গিয়েছেন। 

এই রাজবাড়িতে দেখার মতো রয়েছে এখানকার অন্দরমহল, পুকুর, শিব মন্দির, ছাদ, বাগান আরও অনেক কিছু। কাছাকাছি বেশ কিছু গ্রাম রয়েছে যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য চলে যেতেই পারেন। এখানে পুকুরে চাইলে মাছ ধরতে পারেন ছাদে ঘুড়ি ওড়াতে পারেন বন ফায়ারও করতে পারেন। রাজবাড়ির বেশ কিছু নিজস্ব প্যাকেজ ট্যুরও রয়েছে। 

ইটাচুনা রাজবাড়ি আরও অন্যতম আকর্ষণ হল এখানকার জটেশ্বর শিব মন্দির, ইমামবাড়া, ব্যান্ডেল চার্চ। এছাড়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাসস্থান দেবানন্দপুর। খাওয়া-দাওয়া তেও রয়েছে চমক। ইটাচুনা রাজবাড়িতে কাঁসার থালায় বাটিতে পাত পেড়ে খেতে বসার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।

ইটাচুনা রাজবাড়ি কী ভাবে যাবেন-


১) গাড়িতে গেলে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে আপনাকে যেতে হবে। আজাদ হিন্দ ধাবা বাঁদিকে রেখে তার পরের দিকের রাস্তা ধরতে হবে। সেখান থেকে পৌঁছে যান বোসিপুর। সেখান থেকে ১৯ কিলোমিটার ড্রাইভ করে যান হালুসাই। এখান থেকে ১০ মিনিটের দূরত্বেই রয়েছে ইটাচুনা রাজবাড়ি। 

২) ট্রেনেও যেতে পারেন। বর্ধমান যাওয়ার যে কোনও ট্রেনে উঠুন। অথবা মেমারি থেকে পাণ্ডুয়া লোকাল ধরতে পারেন। ব্যান্ডেল ছাড়িয়ে তিন চারটে স্টেশন পরে আসবে খন্যান স্টেশন। ট্রেন থেকে নেমে ভ্যান, রিক্সা বা অটোতে উঠে ১০ মিনিটে পৌঁছে যান ইটাচুনা রাজবাড়ি।

থাকবেন কোথায়- 

রাজবাড়ি থেকে কুঁড়েঘর সব রকমের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। বেশ কয়েকটি কুটীরও রয়েছে। এসি, নন এসি সব রকমের ব্যবস্থা রয়েছে। ১৫০০ টাকা থেকে ৮৪০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

Share this article
click me!