মা-বাবা দুজনেই চাকরি (Working) করে। বাড়িতে দাদু, দিদা আর কাজের মাসির সঙ্গে তার দিন কাছে। মা-বাবাকে পাওয়া বলতে সপ্তাহে (Week) দুদিন। মা-বাবা থাকে না বলে, একা একাই বড় হচ্ছে সে। ছোট বয়সে তেমন কোনও সমস্যা না থাকলেও, আজকাল নানা রকম পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে বাচ্চার স্বভাবে (Attitude)। একাকীত্ব, নির্জনতাতেই আজকাল স্বচ্ছন্দ্যবোধ করছে সন্তান, জেনে নিন কীভাবে বদল করবেন বাচ্চার এমন স্বভাব।
সদ্য ১১-তে পা দিল আর্য। বাড়ির এক মাত্র সন্তান সে। মা-বাবা দুজনেই চাকরি (Working) করে। বাড়িতে দাদু, দিদা আর কাজের মাসির সঙ্গে তার দিন কাছে। মা-বাবাকে পাওয়া বলতে সপ্তাহে (Week) দুদিন। মা-বাবা থাকে না বলে, একা একাই বড় হচ্ছে সে। ছোট বয়সে তেমন কোনও সমস্যা না থাকলেও, আজকাল নানা রকম পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে আর্যর মধ্যে। বিশেষ করে ওর স্বভাবে (Attitude)। সারাদিন সে নিজের ঘরেই থাকে। পড়াশোনা (Education), মোবাইল (Mobile) আর গেমস (Games) নিয়ে সময় কাটে। একা একা আনমনে থাকতে থাকতে কেমন বদলে গিয়েছে আর্য। আজকাল কারও সঙ্গে কোনও কথা বলতে চায় না। পরিবারের (Family) কারও সঙ্গে সময় কাটাতে চায় না। এমন অবস্থা আর্য নয়, এই বয়সের অনেক বাচ্চাদের (Children) মধ্যেই দেখা যায়। তবে, তার এই স্বভাবের বদল ঘটাতে বকা-ঝকা করলে হবে না। বুদ্ধি করে চলতে হবে। জেনে নিন কী করবেন।
মা-বাবা (Parents) হিসেবে সব সময় বাচ্চাকে কোনও না কোনও বিষয় আদেশ (Order) দিলেই হল না। সবার আগে বাচ্চার সমস্যা শুনতে শিখুন। তার বন্ধু (Friend) হন। যতটুকু সময় সঙ্গে থাকেন, সেই সময় কৌশল করে ওর মনের কথা জানতে শিখুন। দেখবেন, সম্পর্ক যেমন সহজ হবে, তেমনই বাচ্চা সঠিক পথে চালিত হবে। একা থাকার স্বভাবের (Attitude) বদল হবে। সে সকলের সঙ্গে মিশবে, মনের কথা ভাগ করে নেবে।
আরও পড়ুন: Baby Health : জানেন কি, প্যাকেটজাত খাবার কতটা ক্ষতি করছে আপনার শিশুর, সতর্ক হোন এখনই
সন্তানকে (Children) তার আবেগ প্রকাশ করার জায়গা দিন। সব সময় ইতিবাচক আচরণ রাখুন তার দিকে। যাতে সে আপনার ওপর ভরসা (Trust) করতে পারে। সব মনের কথা বলে পারে। বাচ্চার (Kids) ভুল কিছু করছে দেখে বকবেন না। কৌশন করে বোঝান। সঠিক সময় বুঝে তার ভুল নিয়ে আলোচনা করবেন। তা না হলে সমস্যা (Problems) বাড়বে। একবার সে গোপন করা শিখলে, সমুহ বিপদ।
তাদের অনুভূতি (Feelings) ও আবেগকে (Emotions) তুচ্ছ মনে করবেন না। বাচ্চার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন না এবং ক্রমাগত নির্দেশ দেবেন না। তার মনের অবস্থা বুঝে চলুন, তার আবেগ বুঝে চলুন। আপনি যত ভালোভাবে আপনার বাচ্চাকে বুঝবেন, তত তার ভবিষ্যত (Future) উন্নত হবে। আপনার আবেগ সম্পর্কেও তাকে জানান। বাচ্চার সঙ্গে দূরত্ব রাখবনে না। বন্ধুত্বপূর্ণ (Friendly) সম্পর্ক করুন। এসে সে সকলের সঙ্গে সহজ হবে।
পারিবারিক বিনোদনমূলক (Entertainment) কার্যকলাপে যোগ দিন। তার সঙ্গে খেলা করুন। বাচ্চার সব কাজে উৎসাহ দিন। তাকে সবক্ষেত্রে মানসিক ভাবে সমর্থন (Mental Support)করুন। মনে রাখবেন, বাচ্চা অধিকাংশ সময় একা থাকে। ফলে, তার ভুল পথে চালনা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এক্ষেত্রে, আপনার ও সন্তানের বন্ডিং (Bonding) যত ভালো হবে, সম্পর্ক তত সহজ হবে। এতে সে সকলের সঙ্গে মিশত শিখবে। ঘরকুণো স্বভাবের বদল হবে।