সব সময় কেন লাল পোশাকেই আসেন সান্তা (Santa Clauses), ভেবে দেখেছেন? এর পিছনে রয়েছে একটি বড় কাহিনি। জেনে নিন সান্তাপ লাল পোশাকের নেপথ্যের কাহিনি।
রাত ১২টা বাজলেই সান্তা খুঁড়ো আসবে। মাঝ রাতে সান্তা ক্লজ এসে উপহার দিয়ে যাবেন বাচ্চাদের। মোজায় ভরে দিয়ে যাবেন চকলেট, ক্যাটবেরি, লজেন্স আরও কত কী। বড়দিন মানেই সান্তা ক্লজের (Santa Clause) দেওয়া উপহার। সাদা দাড়িওয়ালা সান্তা খুঁড়ো, লালা (Red) পোশাক আর লাল টুপি পড়ে গভীর রাতে আসে। সে এসে বাচ্চাদের আনন্দ দিয়ে থাকেন। কিন্তু, সব সময় কেন লাল পোশাকেই আসেন সান্তা, ভেবে দেখেছেন? এর পিছনে রয়েছে একটি বড় কাহিনি। জেনে নিন সান্তাপ লাল পোশাকের নেপথ্যের কাহিনি।
লাল পায় জামা, লাল শার্ট আর লাল চুপি- সান্তার (Santa Clause) সাজ এমনটাই। যুগ যুগ ধরে এই সাজেই আসেন সাদা দাড়িওয়ালা সান্তাবুড়ো। বাচ্চাদের উপহার দিয়ে যায়। কিন্তু, সব সময় লাল কেন, অন্য রঙের পোশাকে (Dress) দেখা দেন না সান্তা? এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই জাগে। এর পিছনের হয়েছে একটা লম্বা কাহিনি। ঘটনাটি বহু যুগ আগেকার। ১৯৩১ সালের ঘটনা। সে সময় কোকাকোলা চিত্রকর হ্যাডন স্যান্ডব্লম ছুটির বিজ্ঞাপন (Advertisement) তৈরি করেছিলেন। সেই বিজ্ঞাপনের একটি সিরিজে সান্তা ক্লজের একটি চিত্র ছিল। হ্যাডন স্যান্ডব্লম সেই বিজ্ঞাপনে সান্তাকে লাল পোশাক পরান। তাঁর শিল্প কর্মে প্রকাশ পায় একজন সাদা দাড়িওয়ালা বুড়ো। যিনি লাল টুপি ও লাল পোশাক (Dress) পরে ছিলেন। সেই থেকেই এমন সাজে দেখা দেন সান্তা। স্লেজ গাড়ি চেপে লাল পোশাকে আসেন সান্তা খুঁড়ো। বিজ্ঞাপনটি সেই সময় বিশ্ব জুড়ি সফল হয়েছিল। সেই থেকেই সান্তা বুড়ো লাল পোশাকে সেজে আছেন। সেই সাজেই প্রতিবছর আসেন তিনি। মন ভালো করে দেন ছোট-বড় সকলের।
আরও পড়ুন: Christmas 2021: বড়দিন মানেই কেক, জেনে নিন কলকাতার বুকে স্পেশ্যাল কেকর সেরা ঠিকানা
এছাড়াও একটি কাহিনি রয়েছে সান্তার মোজা (Socks) নিয়ে। প্রচলিত আছে, মোজা ঝোলালেই সান্তা উপহার দেন। প্রচলিত গল্প অনুসারে, খ্রিস্টান ধর্মযাজক সেন্ট নিকোলাস ছোট ছোট বাচ্চাদের বন্ধু ও দরিদ্রদের দাতা ছিলেন। তিনি ধনী পরিবারের এক মাত্র পুত্র ছিলেন। রাতের অন্ধকারে তিনি দরিদ্রদের উপহার দিতেন। একবার দুটি দুঃস্থ বাচ্চা চিমনির সামনে মোজা শুকোতে দিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। সেন্ট নিকোলাস সেই মোজায় উপহার (Gifts) ভরে দেন। সেই থেকেই মোজার মধ্যে উপহার ভরে দেওয়ার রীতি প্রচলিত আছে। তবে, বড়দিনের এই কাহিনিটি কোনও ঐতিহাসিক বইয়ে বর্ণিত নেই। বরং, লোক মুখেই প্রচলিত আছে এই কাহিনি।