এটাই আমেরিকায় দীর্ঘতম দূরত্বের বজ্রপাত, যা ইতিমধ্যেই বিশ্বের দীর্ঘতম বজ্রপাতের রেকর্ড গড়েছে। মার্কিন আবহাওয়া বিভাগের মতে, এর আগে ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল, মিসিসিপি, লুইসিয়ানা এবং টেক্সাসে বজ্রপাত হয়েছিল যা ছিল ৭৬৮ কিলোমিটার বা ৪৭৭.২ মাইল দীর্ঘ।
দক্ষিণ আমেরিকায় (South America) হওয়া বজ্রপাত (lightning strike) করেছে বিশ্ব রেকর্ড (World Record)। লন্ডনের হামবুর্গের আকাশে বজ্রপাতের এক অপূর্ব দৃশ্য দেখা গেল। বজ্রপাতের এই দূরত্ব ছিল প্রায় ৭৭০ কিলোমিটার। এটাই আমেরিকায় দীর্ঘতম দূরত্বের বজ্রপাত, যা ইতিমধ্যেই বিশ্বের দীর্ঘতম বজ্রপাতের রেকর্ড গড়েছে। মার্কিন আবহাওয়া বিভাগের মতে, এর আগে ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল, মিসিসিপি, লুইসিয়ানা এবং টেক্সাসে বজ্রপাত হয়েছিল যা ছিল ৭৬৮ কিলোমিটার বা ৪৭৭.২ মাইল দীর্ঘ। এই সময় নতুন রেকর্ডও হয়। এবারের আমেরিকায় হওয়া এই বজ্রপাত সেই রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলে। নিউ ইয়র্ক সিটি এবং কলম্বাস, ওহাইও বা লন্ডন এবং জার্মানির হামবার্গ শহরের দূরত্বের সমান ছিল এই বজ্রপাত।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এবার সবচেয়ে বেশি সময় ধরে বজ্রপাত হয়েছে। তবে এটি কতক্ষণ জ্বলছিল সে বিষয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি। ২০২০ সালের ১৮ জুন, উরুগুয়ে এবং উত্তর আর্জেন্টিনায় বজ্রপাত হয়েছিল, যা ১৭.১ সেকেন্ডের জন্য রেকর্ড করেছিল। এর আগে ২০১৯ সালে ৪ মার্চ, উত্তর আর্জেন্টিনায় হওয়া বজ্রপাতের চেয়ে এটি ০.৩৭ সেকেন্ড বেশি ছিল। ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (WMO) জলবায়ু বিশেষজ্ঞ র্যান্ডাল সার্ভেনি বলেছেন, এই রেকর্ডটি একক বজ্রপাতের। বজ্রপাতের ফ্ল্যাশের দৈর্ঘ্য এবং এটি কতক্ষণ স্থায়ী হয়, এই প্রক্রিয়াটি কয়েক বছর ধরে দ্রুত বাড়ছে।
প্রতি বছর বজ্রপাতে শত শত মানুষ মারা যায়
WMO প্রধান পেটেরি তালাস বলেছেন যে, বজ্রপাত একটি বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা প্রতি বছর বহু মানুষকে হত্যা করে। বজ্রপাতের ক্র্যাকলিং এবং পতন একটি বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া। তিনি আরও বলেছেন, বিদ্যুত থেকে সুরক্ষিত একমাত্র জায়গা হল বড় বিল্ডিং যেখানে ওয়্যারিং এবং প্লাম্বিংয়ের মাধ্যমে সুরক্ষার জন্য যত্ন নেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের সংস্থা তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত এবং বায়ু সহ বিভিন্ন আবহাওয়া এবং জলবায়ু ডেটার জন্য অফিসিয়াল বিশ্বব্যাপী রেকর্ড বজায় রাখে।
আরও পড়ুন- ১১ ফেব্রুয়ারি ধ্বংসের মুখে পড়তে পারে পৃথিবী, সতর্কতা জারি করল নাসা