বক্স অফিসে নিকম্মাই রইলো নিকম্মা, প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ শিল্পা শেঠীর নতুন সিনেমা

শিল্পা শেঠি কুন্দ্রা, অভিমন্যু দাসানি এবং শার্লি সেটিয়া অভিনীত, নিকাম্মা সম্পূর্ণ হতাশাজনক, আমাদের পর্যালোচনা বলে।

Senjuti Dey | Published : Jun 17, 2022 1:03 PM IST / Updated: Jun 17 2022, 06:59 PM IST

এমন ফিল্ম খুব কমই আছে যেটি তার নাম অনুসারে কাজেও পারফেক্ট। যেমন, হিরোপন্তী ২তে হিরো গিরির 'হ' ও ছিল না। কিন্তু নিকম্মা? অনুমান করুন নির্মাতারা প্রথম থেকেই জানতেন রায় কী হবে এবং তাই এই নাম। ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিল্পা শেঠি এবং অভিমন্যু দাসানি। শার্লি সেটিয়াও কাস্টের একটি অংশ, কিন্তু আপনি তাকে ছবি তে খুব কমই দেখতে পাবেন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সাব্বির খান। সংক্ষেপে, নিকম্মা আপনাকে বিরতির জন্য অপেক্ষা করতে বাধ্য করবে যাতে আপনি একটি মাথা ব্যথার ওষুধ খেয়ে তার পরে সিনেমা টি দেখতে বসেন।

ফিল্মের প্রথম ২০ মিনিট দেখানো হয়, নিকাম্মা (অর্থাৎ যার কোনো কাজ নেই, বা যাকে দিয়ে কোনো কাজ হয়না) আদি (অভিমন্যু) যে একজন বেকার যুবক, তাঁর জীবনে কোন কাজ নেই তাই তাঁর লাইফ খুবই বোরিং ও হতাশাজনক, যা দেখতে দেখতে আপনার কিছু টা সময়ও বোরিং করে তুলবে, আপনি শুধু ছবিটি শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে চাইবেন। দুঃখের বিষয়, আদির বিরক্তিকর জীবনকে ফোকাস করাটাই ছিল ফিল্মের সবচেয়ে দুঃখজনক অংশ। কিন্তু শোটি ঠিক তখনই শুরু হয়,। আদি একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষ যে অর্থের জন্য তার ভাই (সমীর সোনি) এবং তার চাচা-চাচির উপর নির্ভর করে। বিনিময়ে, তারা তাকে প্রশ্রয় দিয়ে দিয়ে তাঁকে মাথায় তুলে আরো পরনির্ভরশীল করে তোলে। আদির খুবই শ্লথ গতির জীবন, যখনই তাঁর টাকার দরকার পড়ে সে তাঁর কাকু কাকিমার কাছ থেকে পেয়ে যায়, সে একশ দুশই হোক বা দশ হাজার। যাইহোক, সমীর যখন শিল্পা শেঠিকে (অবনি) বিয়ে করেন তখন তাঁর জীবন বদলে যায়। আমরা চাই বলিউডের আদর্শ হিট ফর্মুলা ভাবী-দেভার কা পবিত্র প্যায়ার এতেও কাজ করুক। সত্যি বলতে, এটা করেছে। কিন্তু গল্পে খুব অল্পই পরিবর্তন চোখে পড়বে আপনার।

হলুদ ফুলের বিকিনিতে উন্মুক্ত উরফির বক্ষবিভাজিকা, এবার একদম নতুন লুকে ভাইরাল হলেন তিনি

এক ফ্রেমে শাহরুখ ও বাবা! ছবি দেখে হতবাক ছেলে, তিন বছর পর জানতে পারলেন আসল রহস্য!

শীঘ্রই আসতে চলেছে নো এন্ট্রি-র সিকোয়েল! ট্রিপল রোলে দেখা যাবে সল্লু ভাই কে

বেশ আরামেই দিন কাটছিল আদির, কিন্তু আদির জীবন বদলে যায় তাঁর বৌদি অবনী তাঁর জীবনে আসার পর। সে তাকে ঘৃণা করতে শুরু করে। কারণ? তিনি তাকে বাড়ির কাজে সাহায্য করতে বলতে শুরু করেন কারণ আদি যেহেতু চাকরি করেন না তাই বাড়ি তে তাঁর অঢেল সময়। আদির উপর আকাশ ভেঙ্গে পড়ে যখন তাঁকে তাঁর ভাবীর ট্রান্সফার অর্ডার আসে এবং তিনি ঘরের কাজে  সাহায্যের জন্য সঙ্গে করে আদি কেও নিয়ে যেতে চান অন্য শহরে এবং সেখান থেকেই গল্প শুরু হয়। এছাড়াও, আপনি যদি এই মুহুর্তে সিনেমা হলে প্রবেশ করেন, আপনি এখনও দৃশ্য গুলি দেখে গল্প টি বুঝতে পারবেন যে এরপর কি হতে চলেছে বা এতক্ষন কি হয়ে থাকতে পারে।


ওপর দিকে শার্লির চরিত্র টিও খুবই কম সময়ের জন্য স্ক্রিনে আসেন। শার্লি সুগায়িকা হিসেবেই পরিচিত, কিন্তু অভিনয়ে ঠিক উল্টো,তাই অভিনয়ে না আসাই বোধয় তাঁর জন্য ঠিক হত। তাঁর প্রথম দৃশ্যেই তিনি আদি কে তাঁকে বিয়ে করতে বলেন, যদিও দৃশ্য টি গল্পের খাতিরে নিতান্তই মূল্যহীন বা বোকা বোকা, তাঁর চরিত্র নিকি একটি খুবই সৌখিন ও সব সময় খুব সাজগোজ করতে ভালোবাসে, কিন্তু সিনেমার শেষের দিকে যখন অবনী তাঁর স্বামী কে হারাতে বসেছে, সবারই চোখে জল, নিকিও সেখানে ছুটতে ছুটতে এসেছেন কিন্তু হাতে ড্রেসের সাথে ম্যাচিং নেল কালার, ম্যাচিং দুল পড়ে পরিপাটি হয়ে সেজেগুজে, যা সেই সিনে খুবই বেমানান।

Share this article
click me!