শুধু ভারত নয় পাকিস্তান জঙ্গি পাঠাচ্ছে আফগানিস্তানেও, ভয় ধরানো রিপোর্ট রাষ্ট্র সংঘের

৬৫০০ পাক  জঙ্গি  আফগানিস্তানে
লস্কর জইশ জঙ্গিদের মুক্তভূমি আফগানিস্তান
জঙ্গিদের হাত পড়েছে প্রাকৃতিক সম্পদে
আফগান প্রশাসনকে সতর্ক করছে রাষ্ট্র সংঘ

Asianet News Bangla | Published : Jun 2, 2020 12:46 PM IST

পাকিস্তানের জঙ্গিদের মুক্তভূমি হয়ে উঠেছে আফগানিস্তান। তেমনই দাবি করছে রাষ্ট্র সংঘের একটি রিপোর্ট। রাষ্ট্র সংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রায় ৬৫০০ সন্ত্রাসবাদী রয়েছে আফগানিস্তানে। যাদের মধ্যে প্রায় একহাজার জঙ্গি  লস্কর ই তৈবা ও জইশই মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত। এই দুটি সংগঠনই পাকিস্তানকে কেন্দ্র করেই নিজেদের সন্ত্রাসলীলা চালিয়ে যায়।  রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে অধিকাংশ জইশ ও লস্কর জঙ্গিরা তালিবানিদের সঙ্গে একসঙ্গ কাজকর্ম করছে। তারা একে অপরের সঙ্গে প্রবলভাবে যোগাযোগ রাখছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। 


রাষ্ট্র সংঘের রিপোর্টে একটি বিষয় নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রায় সাড়ে ছ-হাজার পাকিস্তানি জীবিকার সন্ধানে আফগানিস্থানে গিয়েছিল। সেখানেই তারা জঙ্গিবৃত্তি অবলম্বলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। পাশাপাশি আফগান প্রকাশনের উদ্দেশেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে রিপোর্টে বলা হয়েছে তেহেরিক ই তালিবান পাকিস্তান, জইশ ই মহম্মদ আর লস্কর ই তৈবা ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। 

আফগান প্রশাসনের অভিযোগ, জইশ ও লস্কর জঙ্গিদের আফগানিস্তানে পাঠানোর মূল উদ্দেশ্যই হল আফগান প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা। এই দুই সংগঠনের জঙ্গিরা রীতিমত দক্ষ উন্নতমানের বিস্ফোরক তৈরি করতে। পাশাপাশি মারনাস্ত্র ব্যবহারেও এরা পারদর্শী। রাষ্ট্র সংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী এই দুই সংগঠেনর জঙ্গিদের চারণভূমি হল মহম্মদ দারাহ, দুরবাব ও শেরজাদ জেলায়। কুনার প্রদেশে লস্করের প্রায় ২২০ জন জঙ্গি রয়েছে। আর জইশের ৩০ জঙ্গি তালিবানিদের সঙ্গে মিশেগিয়ে  সন্ত্রাস চালাচ্ছে।  

জাতি সংঘের একটি রিপোর্টের উল্লেখ করে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন,আফগানিস্তানের সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে লড়াই করার জন্য পাকিস্তান থেকে প্রায় ৬হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি গেছে। সংখ্যাটা আরও বেশি হতে পারে। 

করোনার কারণে ফ্রান্স থেকে রাফাল হাতে পেতে কোনও সমস্যা হবে না , জানালেন রাজনাথ সিং ...

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে তালিবানদের আয়ের একটি বড় অংশই আসে মাদক চোরাচালন থেকে। সেই নেটওয়ার্ক পাকিস্তানের পূর্ব সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলি পর্যন্ত বিস্তৃত। নিরাপত্তা কর্মীদের কাজে লাগিয়েই সুকৌশলে মাদক পাচার হয় বলে অভিযোগ। চোরাচালান সিন্ডিকেটের প্রধান তানজিমেমস নামে পরিচিত। চোরাচালানের মাধ্যমে যে টাকা আয় হয় তা সকলে মিলে ভাগ করে নেয় বলেও রিপোর্টে বলা হয়েছে। 

'মেড ইন ইন্ডিয়া' আর 'মেড ফর ওয়ার্ল্ড', আত্মনির্ভর ভারতের কথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ...

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, জেলা চোরাচালানকারবারিকা প্রতি কেজে হিরোইনের বিনিম. ২০০ টাকা করে পাকিস্তানের নিয়ুক্ত জঙ্গিদের হাতে তুলে দেয়। পাচারকারীরা পরের যাওয়ার আগে তাদের সংশাপত্রও দেওয়া হয়। 

এশিয়ার দামি বিবাহ বিচ্ছেদ কোটিপতি করল প্রাক্তনীকে, রাতারাতি এলেন ধনী মহিলার তালিকায় ...

জাতি সংঘের তরফ থেকে আফগান সরকারকে জানান হয়েছে যে, যেসব এলাকা এখনও আফগানিস্তান সরকার দখল করতে পারেনি সেই সব এলাকায় রীতিমত প্রাকৃতিক সম্পদের দিকে হাত বাড়িয়েছে জঙ্গিরা। নিয়মবিধি না মেনেই সোনা তামা টিন উত্তোলন করা হচ্ছে। করাচিতে পরিশোধিত করার পর তা পাকিস্তানের পণ্য হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। 

রাষ্ট্র সংঘের প্রতিবেদনে তালিবান ও আল কায়দার মধ্যে সংযোগের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে তালিবানরা মূলত হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও আল কায়দার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে যৌথ সংগ্রামে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। 
 

Share this article
click me!