সংক্ষিপ্ত

রাতারাতি বদলে গেল মহিলার ভাগ্য
মিলিয়নার থেকে হয়েগেলেন বিলিয়নার
এশিয়ার সব থেকে দাবি বিবাহ বিচ্ছেদ হল চিনে
ধনী মহিলার তালিকায় সংযোজিত হল নতুন নাম
 


বিবাহ বিচ্ছেদের পরই ভাগ্য খুলে গেল বললে খুব একটা ভুল হবে না। এশিয়ারতো বটেই বিশ্বের নতুন বিলিয়নার মহিলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেন ইউয়ান।  চিনের বাসিন্দা এই মহিলা বিবাহ বিচ্ছেদের মূল্য হিসেবে তাঁর স্বামীর কাছ থেকে পেয়েছিলেন একটি সংস্থার ১৬১.৩ মিলিয়ন মূল্যের শেয়ার। কিন্তু সেই শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়ায় তিনি বর্তমানে ৩.২ বিলিয়ান মার্কিন ডলারের মালকিন। বিশ্বের অন্যতম ধনী মহিলার তালিকায় নিজের জায়গা করে নিয়েছেন ৪৯ বছরের ইউয়ান।পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত এটিকে এশিয়ার সব থেকে দাবি বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা বললেও কোনও ভুল হবে না। 

ইউয়ানের স্বামী ডি ইউইমিন সেনজান কাংটাই বায়লোজিক্যাল প্রোডাক্ট সংস্থার চেয়ারম্যান। বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য গত ২৯ মে স্ত্রী ইউয়ান লিপিং-এর নামে ১৬১.৩ মিলিয়ন মূল্যের শেয়ার ট্রান্সফার করেছিলেন। ভারতীয় টাকায় যার মূল্য প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা। সোমবার বাজার বন্ধ হওয়ার সময়ই সেই শেয়ারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩,২ মিলিয়ান মার্কিন ডলারে। আর তাতেই রাতারাতি রীতিমত ধনী মহিলার তালিকায়  জায়গা করে নিয়েছেন প্রতিষেধক প্রস্তুতকারক হিসেবে পরিচিত ইউয়ান। 

স্ত্রীকে প্রচুর টাকার শেয়ার দিয়ে দিলেও এখনও রীতিমত ধনী রয়েছে ডু। তাঁর মোট সম্পত্তি ৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমে এসে হয়েছে ৩.১ বিলিয়ন। সূত্রের খবর শেয়ার হস্তান্তরিক হওয়ার পরই ইউয়ান তাঁর স্বামীর দায়ের করা বিবাহ বিচ্ছেদ  মামলায় স্বাক্ষর করেন। 
 

কাংটাই বায়লোজিক্যাল প্রোডাক্ট সংস্থাটি তৈরি হয়েছিল ডু-এর হাত ধরেই। ২০০৯ সাল থেকে তিনি ছিলেন চেয়ারম্যান। আর এই সংস্থায় ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন ইউয়ান। বর্তামানে তিনি বেজিং মিনহাই বায়োটেকনোলজিক -এর দায়িত্বে রয়েছেন। ইউয়ান বেজিং আন্তর্জানিক ব্যবসা ও অর্থনীতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। 
খুব সাধারণভাবেই জীবন শুরু করেছিলেন ডু। ৫৭ বছরের ডু, চিনের জিয়াংসি প্রদেশে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রয়াসনে স্নাতক ছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে একটি বায়োটেক সংস্থার ব্যবস্থাপক হয়েছিলেন তিনি। চিনের অর্থনীতি দ্রুতহারে পরিবর্তনের কারণে অল্পদিনের মধ্যেই বদলে যায় তাঁর জীবন। বর্তমানে তিনি চিনের অন্যতম ধনী ব্যক্তি হিসেবেও পরিচিত। 

তবে ডু-ই একমাত্র কোটিপতি নন যাঁকে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য এমন চড়া মূল্য দিতে হয়েছে।  ২০১২ সালে উ ইয়াজুন তাঁর স্বামী কাই কুইয়ের কাছ থেকে প্রায় ২.৩ বিলিয়ন মূল্যের শেয়ার আদায় করেছিলেন। 

ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি আমেঠিতে, কোথায় গেলেন স্মৃতি খুঁজে বেড়াচ্ছে স্থানীয়রা ...

ভার্চুয়াল না সেন্ট্রাল হল, কোথায় কীভাবে হবে সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন তানিয়েই জল্পনা ...

ডোকলামের পরই তলে তলে যুদ্ধের প্রস্তুতি চিনের, হাই অল্টিটিউড সমরাস্ত্রে কতটা শক্তিশালী তারা ...