অভিনন্দনকে না ছাড়লে আক্রমণ করবে ভারত, শুনেই ভয় পান সেনাপ্রধান, পাক সংসদে বিস্ফোরক বয়ান সংসদের

  • অভিনন্দন বর্তমান ইস্যুতে বিস্ফোরক বয়ান
  • বিস্ফোরক বয়ান দিয়েছেন এক পাক সাংসদ
  • তাঁর বিস্ফোরক দাবিতে হইচই পড়ে গিয়েছে
  • সেই সঙ্গে সামনে এসেছে অভিনন্দনের তড়িঘড়ি মুক্তির বিষয়টিও

Asianet News Bangla | Published : Oct 29, 2020 5:31 AM IST / Updated: Nov 02 2020, 09:34 PM IST

ভারতের উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন পাকিস্তানের সাংসদ আয়াজ সাদিক। তিনি বলেন, রাত ৯টার নয় ভারত পাকিস্তানের ওপর হামলা চালাতে পারে। শুধু এইটুকু শুনেই পা কেঁপে গিয়েছিল। ঘেমেনেয়ে নাকি একসা হয়ে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। পাকিস্তান পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-এন এর নেতা আয়াজ সাদিক। ২০১৯ সালে ভারতের উইং ক্যাপ্টেন অভিনন্দন বর্তমানকে মুক্তি দেওয়ার ইস্যুতে এমনই ঘটনা ঘটেছে বলেই তিনি জানিয়েছে। 


২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামা হামলার পরই এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছিল ভারত। আর সেই সময় ভারতের বায়ু সেনার জওয়ান অভিনন্দন বর্তমান পাকিস্তানের হাতে আটক হন। অভিনন্দন বর্তামানকে ছাড়িয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করে ভারত। তার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানেও শুরু হয় তৎপরতা। সেই ঘটনার দেড়় বছরের মাথায় জাতীয় পরিষদে ভাষণ দিতে গিয়ে সেই কথাই তুলে ধরেন আয়াজ সাদিক। তিনি বলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি একটি বৈঠকে ছিলেন, যে বৈঠকে উপস্থিত হননি দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সাদিকের কথায় সেই বৈঠকে হাজির হতেই অস্বীকার করেছিলেন ইমরান খান।  সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়া যখন সেই ব ঘরে ঢুকেছিলেন তখন দেখা যায় তাঁর পা কাঁপছিল। তাঁর কপালে জমেছিল বিন্দু বিন্দু ঘাম। সেই বৈঠকেই পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছিলেন ঈশ্বরের দোহাই অভিনন্দনকে যেতে দাও। না হলেই ভারত রাত ৯টার সময় পাকিস্তান আক্রমণ করবে। আর সেই বৈঠকেই অভিনন্দনের মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। 

পাক সংবাদপত্র  বলেছেন যে, অভিনন্দন-সহ সমস্ত ইস্যুতে বিরোধী রাজনৈতিকদলগুলি পাকিস্তান সরকারকে সমর্থন করেছিল। কিন্তু এরপর আর তারা সমর্থন করতে পারবে না। সাদিকের অভিযোগ বর্তমান পাকিস্তান সরকার ভারতীয় চাপের কাছে মাথা নত করেছে। কাশ্মীর ও অভিনন্দন ইস্যুতে বিরোধীদলগুলি ইমরান খানের সরকারকে সম্পূর্ণ সমর্থন করা সত্ত্বেও তারা কোনও কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারেনি। 

রাহুল ব্রিগেডের প্রাক্তন দুই সহযোগী কি বদলে দেবে ভারতীয় রাজনীতির ধারা, প্রচার যুদ্ধে অন্যরকম বার্তা

নাম না করে এদেশের মাটি থেকে চিনকে বার্তা, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারতকে পাশে চায় আমেরিকা .

Share this article
click me!