মুম্বইয়ের সন্ত্রাসবাদী হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদকে সাড়ে ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত। সন্ত্রাসবাদ তহবিল সংক্রান্ত দুটি মামলায় এই রায় ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছর এই নিয়ে দুবার জামাত উদ দাওয়ার প্রধান হাফিজ সহিদকে দুবার দোষী সাব্যস্ত করল লাহর। আগেই তাকে সন্ত্রাসবাদী তহবিলের একটি মামলা দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বর্তমানে সে পাক জেলে বন্দি রয়েছে।
পাকিস্তানের আদালত আরও তিন জামাত জঙ্গিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। যাদের মধ্যে জাফর ইকবাল, ইয়াহিয়া মুজাহিদে ১০ বছরের জন্য কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবদুল রেহমান মক্কিকে মাসের ৬ মাসের জন্য কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হাফিজের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাফিজের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৪১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যারমধ্যে মাত্র ৪টির রায় ঘোষণা করা হয়েছে। ২৪টি মামলার বিচার চলছে পাকিস্তানের অ্যান্টিটেরর কোর্টে।
হাফিজ সইদকে রাষ্ট্র সংঘ্ জঙ্গি তকমা দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হাফিজের মাথার দম ধার্য করেছে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডরাল। হাফিজের সন্ত্রাসবাদে সাহায্যের তহবিলের জন্য পাক প্রশাসনকে বিব্রত হতে হয়। কিন্তু তারপরেও দিনের পর দিন পাকিস্তান হাফিজের বিরুদ্ধে তেমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। চলতি বছর ফেব্রিয়ারি মাসে হাফিজের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধা আদালত দুটি মামলার রায় ঘোষণা করেছিলে। সেই রায় অনুযায়ী ১১ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে। বর্তমানে হাইপ্রোফাইল এই জঙ্গি পাকিস্তানের কড়া নিরাপত্তায় কোট লোকপত কারাগারে বন্দি রয়েছে।
পূর্ব লাদাখ সেক্টরে কার্যত যুদ্ধের ডঙ্কা বাজাচ্ছে লাল ফৌজ, চিনের সেনা সরানোর কথাই সার ...
মাস্ক না পরলে গুণতে হবে ২ হাজার টাকা জরিমানা, করোনা মহামারি রুখতে সর্বদল বৈঠক ...
লস্কর ই তৈবার ফ্রন্ট লাইন সংগঠন হিসেবেই মূলক কাজ করে হাফিজ সইদের জামাত উদ দাওয়া। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বই হামলার মাস্টার মাইন্ড ছিল হাফিস সইদ। দীর্ঘ দিন ধরেই ভারত পাকিস্তানেরের কাছে হাফিজকে হাতে তুলে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে আসছে। ভারত-সহ একাধিক দেশের অভিযোগ অন্যন্য জঙ্গিদের যেভাব পাকিস্তান সরকার মদত দেয় হাফিজের ক্ষেত্রের তার অন্যথা হয়নি।