জঙ্গি নিধনের নামে প্রমাণ লোপাট করল পাকিস্তান, আর কি ন্যায়বিচার পাবেন কুলভূষণ

আদৌ কি ন্যায়বিচার পাবেন কুলভূষণ যাদব

প্রমাণ লোপাটের খেলায় মেতেছে পাক বাহিনী

হত্যা করা হল মোল্লা ওমর নামে এক জঙ্গিকে

সেই  কুলভূষণকে অপহরণ করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে

amartya lahiri | Published : Nov 18, 2020 10:02 AM IST / Updated: Nov 21 2020, 08:47 AM IST

আদৌ কি ন্যায়বিচার পাবেন পাক জেলে প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা অফিসার কুলভূষণ যাদব? সম্প্রতি, বালুচিস্তানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে এক সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হওয়ায় এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মনে করা হচ্ছে, পাক সরকার কুলভূষণের মামলার পুনর্বিচারের সুযোগ দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু, মামলা শুরুর আগেই পাক সেনাবাহিনী সব প্রমাণ লোপাট করে দিতে পারে।

সম্প্রতি বালুচিস্তানের তুরাবটে পাক সেনাবাহিনী মোল্লা ওমর ইরানি নামে এক সন্ত্রাসবাদী এবং তার দুই ছেলেকে গুলি করে হত্যা করেছে। এমনিতে মোল্লা ওমর দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানে 'ওয়ান্টেড' তালিকায় ছিল। কাজেই, তাকে হত্যা করাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু, এই মোল্লা ওমর একসময় পাক সেনাবাহিনীর হয়েই কাজ করত। আর সে-ই ইরান থেকে কুলভূষণ যাদবকে অপহরণ করে নিয়ে এসে তুলে দিয়েছিল পাক সেনাবাহিনীর হাতে। তাই, সে কুলভূষণকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারত। তাকে এই মামলার সাক্ষী করার কথাও ভাবা হচ্ছিল।

এই সেই মোল্লা ওমর ইরানি

রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই পাক সরকার কুলভূষণ যাদবকে কোনও পাক উচ্চ আদালতে তাঁর দোষী সাব্যস্ত হওয়ার রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করার অনুমতি দিয়েছিল। বর্তমানে তাঁর পক্ষে একজন আইনজীবী নিয়োগের জন্য পাক আইন মন্ত্রকের করা একটি আবেদনের ভিত্তিতে হওয়া মামলার শুনানি চলছে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে। তারমধ্যেই মোল্লা ওমরকে খতম করে দিল পাক সেনা।  

আরও পড়ুন - লাদাখে সত্যি কি ব্যবহার হয়েছিল 'মাক্রোওয়েভ অস্ত্র', চিনের দাবি নিয়ে কী বলল পিআইবি

আরও পড়ুন - অভিনন্দন জানিয়ে বাইডেনকে ফোন মোদীর, আর কী কী বললেন প্রধানমমন্ত্রী

আরও পড়ুন - পৃথিবীর বুকে এক বছর কাটিয়ে ফেলল করোনাভাইরাস, আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৫৫ লক্ষ

পাকিস্তানের দাবি, চরবৃত্তির কারণেই ২০১৬ সালে বালুচিস্তান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কুলভূষণ যাদবকে। তবে ভারত সরকার পাকিস্তানের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, কুলভূষণকে ইরনের চাবাহার বন্দর থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। ২০১৭ সালের শুরুতেই এক পাক সামরিক আদালত ভারতীয় নৌসেনার এই প্রাক্তন অফিসারকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ডের রায় দিয়েছিল। ওই বছরই, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে মামলা করেছিল ভারত। অভিযোগ করেছিল, কুলভূষণকে কনস্যুলার অ্যাক্সেস দেওয়া হচ্ছে না। সেইসঙ্গে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল পাক সামরিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়কেও। আন্তর্জাতিক আদালত ভারতের দাবি মেনে নিয়েছিল।

Share this article
click me!