পাকিস্তানের জলসীমানায় ভারতীয় নৌবাহিনীর (Indian Navy) সাবমেরিন? গুরুতর অভিযোগ করল পাকিস্তান (Pakistan)।
পাকিস্তানের জলসীমানায় কি হানা দিয়েছিল ভারতীয় নৌবাহিনী? গুরুতর অভিযোগ করল পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস বা আইএসপিআর (Inter-Services Public Relations)। মঙ্গলবার তারা এক বিবৃতি প্রকাশ করে দাবি করেছে, গত শনিবার (১৬ অক্টোবর) নাকি, ভারতীয় নৌবাহিনীর (Indian Navy) একটি ডুবোজাহাজকে তাদের জলসীমানা অতিক্রম করার মুখেই সনাক্ত করেছিল পাকিস্তান এবং তারপর সেই সাবমেরিনটিকে তাদের জলে ঢুকতে বাধা দেয়। ভারতীয় নৌবাহিনীর (Indian Navy) সূত্রে অবশ্য এই দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিন আইএসপিআর-এর পক্ষ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করে বলা হয়েছে ভিডিওতে একটি ভারতীয় সাবমেরিনকে দেখা যাচ্ছে। পাকিস্তানের দাবি, ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবমেরিনটিকে আগেই সনাক্ত করতে পেরেছিল তাদের 'সামুদ্রিক টহলদারি বিমান'। আর তারপর তারা সাবনমেরিনটির পিছু নিয়েছিল। ৩১ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে জলের মধ্যে একটি বস্তু এগিয়ে চলেছে। ভিডিও-র টাইম স্ট্যাম্প অনুযায়ী ঘটনাটি রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ অক্টোবর রাত ১১ বেজে ৩৬ মিনিটে। ভিটিওটি সম্ভবত ড্রোন দিয়ে রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন - উত্তরাখণ্ড থেকে কেরল, কেন অক্টোবরেও এত বৃষ্টি হচ্ছে, বর্ষাকাল কি তবে শেষ হয়নি
আরও পড়ুন - Uttar Pradesh - যোগীকে হারাতে মহিলারাই ভরসা কংগ্রেসের, বড় ঘোষণা করলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
কোনও স্বাধীন সংস্থা এখনও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি। তবে ভারতীয় নৌবাহিনির এক সূত্র, পাকিস্তানের এই দাবি খারিজ করে বলেছে, কোনও পেশাদার নৌবাহিনী যখন শত্রু অঞ্চলে টহলদারি অভিযান পরিচালনা করে, তখন পুরোপুরি জলের নিচ দিয়ে যায়। পেরিস্কোপের গভীরতায় যায় না। ভারতীয় সূত্রে এই ভিডিওটিকে ভুয়ো ভিডিও বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বছর দুয়েক আগেও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী একটি ভুয়ো ভিডিও প্রকাশ করে একই ধরনের দাবি করেছিল।
বর্তমানে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। বিশেষ করে সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে অস্থানীয় কর্মীদের বেছে বেছে হত্যা করার পর পাকিস্তানের প্রতি ভারতে জনরোষ আরও বেড়েছে। কারণ যে সন্ত্রাসবাদীরা উপত্যকায় ওই নিরীহ মানুষগুলিকে হত্যা করেছে, তাদের মদত দিয়ে থাকে পাকিস্তানই। এটা এখন ওপেন সিক্রেট। এমনকী পাকিস্তান সেনা জঙ্গিদের ট্রেনিং দেয় এবং ভারতে অনুপ্রবেশে সহায়তা করে - এমনও প্রমাণ মিলেছে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর জেরে অনেকে আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপে ভারত-পাক ক্রিকেট ম্যাচ বাতিল করার দাবিও তুলেছেন।