ভারতের মত প্রতিবেশী পাকিস্তানের করোনা পরিস্থিতিও দিনে দিনে উদ্বেগ জনক হয়ে উঠছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ৫,২৪৮ জন। ফলে বর্তমানে পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬৭৬। গত ২৪ ঘণ্টায় পাক ভূখণ্ডে মারণ ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের। তাই ইরামনের দেশে করোনা সংক্রমণে মোট মৃত্যু হয়েছে ২,৭২৯।
পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ২৯ হাজারের বেশি। দেশটিতে এখনও পর্যন্ত কোভিড ১৯ টেস্ট হয়েছে ৮ লক্ষ ৯৭ হাজারের বেশি।
করোন নিয়ে আরও আশঙ্কার কথা শোনালেন গবেষকরা, ভারতে নভেম্বরে সবচেয়ে তীব্র হবে সংক্রমণ
করোনায় মৃতের সংখ্যায় বিশ্বে ৯ নম্বরে ভারত, তবে আশা জাগিয়ে দেশে সুস্থতার হার বেড়ে হল ৫১ শতাংশ
লাফিয়ে লাফিয় ফের বাড়ছে সংক্রমণ, লকডাউনের পর এবার গণহারে করোনার পরীক্ষা শুরু বেজিংয়ে
দেশে মোট ১ লক্ষ ৪৪ হাজার সংক্রমমের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পঞ্জাবের। পাকিস্তানের মোট আক্রান্তের এক তৃতীয়ংশই রয়েছে এই প্রদেশে। বর্তমানে পঞ্জাবে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৫৪ হাজারের বেশি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিন্ধ প্রদেশ। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩ হাজার ছাড়িয়েছে। খাইবার পাখতুনখোওয়াতে সংক্রমণের শিকার ১৮ হাজারের বেশি। রাজধানী ইসলামাবাদে সংখ্যাটা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। বালচিস্তানেও করোনা আক্রান্ত ৮ হাজারের বেশি।
এই অবস্থায় পাক ভূখণ্ডে জুলাই মাসের শেষে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লক্ষ ছাড়িয়ে যেতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা প্রকশা করছেন দেশটির পরিকল্পনা মন্ত্রী আসাদ উমর। ইমরান খান মন্ত্রিসভার অন্যতম এই মন্ত্রী বলেন, "জুনের মাঝামাঝি দেশে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দেড় লক্ষের কাছাকাছি। এটা বলতে আমার খুবই কষ্ট হচ্ছে, পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে জুনের শেষে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণে পৌঁছে যাবে।" উমর আরও বলেন, "এভাবে চলতে থাকেল জুলাইয়ের শেষে সংখ্যাট ১০ থেকে ১২ লক্ষে পৌঁছে যেতে পারে।"
করোনা পরিস্থিতি দেশে বেগতিক হওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা 'হু' ফের একবার পাক প্রশাসনকে লকডাউনে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু দেশে ২৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছেন। সেই কারণে সম্পূর্ণ লকডাউন সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন ইমরান খান, এমনটাই দাবি করেছে রেডিও পাকিস্তান।