দু'বারের চ্যাম্পিয়ন ও ১১ বারের রানার্স আপ। আরও একবার রঞ্জি জয়ের হাতছানি বাংলা ক্রিকেট দলের কাছে। ইডেনে রঞ্জি সেমি ফাইনালে কর্ণাটককে ১৭৪ রানে হারাল অনুষ্টুপ মজুমদার , মনোজ তিওয়ারি, ইশান পোড়েল , মনোজ কুমাররা। ১৩ বছর পর ফের রঞ্জি ফাইনালে বাংলা দল। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট ব্যাটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় বাংলা। অনুষ্টুপ মজুমদারের ১৪৯ রানের ইনিংসের সৌজন্যে ৩১২ রান করে বাংলা। রান তাড়া করতে নেমে বাংলার আগুনে বোলিংয়ের সামনে কার্যত অসহায় আত্মসমর্পন করে ক্রিকেট দল। ১২২ রানেই শেষ হয়ে যায় কর্ণাটকের প্রথম ইনিংস। ৫ উইকেট নিয়ে দুরন্ত বোলিং করেন ঈশান পোড়েল। ৩টি উইকেট পান আকাশদীপ ও ২টি উইকেট পান মুকেশ কুমার। প্রথম ইনিংসে ১১২ রানের লিড পায় অরুণ লালের দল।
আরও পড়ুনঃ চেন্নাইয়ে পৌঁছলেন ধোনি, তাকে দেখে উচ্ছসিত ভক্তরা
দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় বাংলা। ১৬১ রানেই শেষ হয়ে যায় বাংলার দ্বিতীয় ইনিংস। ব্যাট হাতে কিছুটা লড়াই দেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, অনুষ্টুপ মজুমদার, শাহবাজ আহমেদরা। প্রথম ইনিংসে লিডের সৌজন্যে কর্ণাটককে ৩৫২ রানের টার্গেট দেয় বাংলা দল। ইডেনের সবুজ উইকেটে ৩৫২ রান তাড়া করা যে খুব একটা সহজ কাজ নয়, তা ভালই বুঝতে পেরেছিলেন কর্ণাটক অধিনায়ক করুণ নায়ার। তাই দলকে ধীরে খেলার নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু ইনিংসের শুরুতেই কে এল রাহুলকে ফেরত পাঠিয়ে জোর ধাক্কা দেন ইশান পোড়েল। পাড্ডিকল ছাড়া কোনও কর্ণাটক ব্যাটসম্যানও তেমনভাবে দাঁড়াতে পারেনি তৃতীয় দিনের শেষে।
আরও পড়ুনঃ ঋদ্ধিমানের বদলে পন্থের চয়ন কি ভারতের হারের কারণ গুলোর মধ্যে একটি
আরও পড়ুনঃ গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়, রয়েছেন ভেন্টিলেশনে
চতুর্থ দিনে কর্ণাটকের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৫৪ রান। আর বাংলার আরও একবার রঞ্জি ফাইনালে পৌঁছানোর স্বপ্ন পূরণের জন্য দরকার ছিল ৭ উইকেট। ম্যাচের রাশ পুরোপুরি নিজেদের হাতে আনতে সকালের প্রথম এক ঘণ্টাকেই টার্গেট করেছিল বাংলা। দলের প্ল্যান মাফিক সেই কাজ করে দেখান বাংলার পেস ব্যাটারি। ৬ উইকেট নিয়ে কর্ণাটক দলকে একাই শেষ করে দেন মুকেশ কুমার। দুটি উইকেট পান ইশান পোড়েল ও দুটি উইকেট পান আকাশদ্বীপ। ১৭১ রানে শেষ হয় কর্ণাটকের ইনিংস। ১৩ বছর পর ফাইানেল উঠে উচ্ছ্বসিত বাংলা দল। উচ্ছ্বসিত ইডেনে উপস্থিত ক্রিকেট প্রেমীরা। ২০০৬ -০৭ সালে শেষবার রঞ্জি ফাইানালে পৌছেছিল বাংলা। কিন্তু অধরা থেকে গিয়েছিল ট্রফি। এবার অনুষ্টুপ, মনোজ, ইশান, মুকেশ, আকাশাদীপদের হাত ধরে নতুন করে ভারত সেরা হওয়ার স্বপ্ন দেখছে বাংলা।