ওডিআই বিশ্বকাপের আগে অসাধারণ ফর্মে ভারতের তরুণ ওপেনার শুবমান গিল। চোট সারিয়ে দলে ফিরে দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন শ্রেয়াস আইয়ারও। ফলে স্বস্তিতে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচে টসে হেরে ইনিংসের শুরুটা দুর্দান্তভাবে করল ভারত। ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় ৮ রান করে আউট হয়ে গেলেও, অপর ওপেনার শুবমান গিল শতরান করলেন। ৩ নম্বরে ব্যাটিং করতে নামা শ্রেয়াস আইয়ারও শতরান করলেন। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭৪ রান করেন শুবমান। এশিয়া কাপেও অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান এই তরুণ ব্যাটার। ওডিআই বিশ্বকাপের আগে তাঁর ফর্ম ভারতীয় দলকে ভরসা দিচ্ছে। গত ম্যাচে মাত্র ৩ রান করে আউট হয়ে যান শ্রেয়াস। তবে রবিবার ইন্দোরের হোলকার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শতরান করে বুঝিয়ে দিলেন, ওডিআই বিশ্বকাপের জন্য তৈরি। এশিয়া কাপ শুরু হওয়ার আগে ভারতীয় দলের মিডল অর্ডার নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। বিশেষ করে ৪ নম্বরে কে ব্যাটিং করবেন, সেটা নিয়ে চিন্তা ছিল। কিন্তু এখন সবাই ভালো ফর্মে। ফলে কাকে খেলার সুযোগ দেওয়া হবে, সেটাই এখন চিন্তা।
এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিলেন শ্রেয়াস। তিনি ওডিআই ফর্ম্যাটে তৃতীয় শতরান করলেন। ৯০ বলে ১০৫ রান করে শন অ্যাবটের বলে ম্যাথু শর্টকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান শ্রেয়াস। তাঁর ইনিংসে ছিল ১১টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার-বাউন্ডারি।
এদিন শ্রেয়াস আউট হয়ে যাওয়ার পর ৯২ বলে শতরান পূর্ণ করলেন শুবমান। ওডিআই ফর্ম্যাটে তিনি ষষ্ঠ শতরান করে ফেললেন। সপ্তম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে ওডিআই ম্যাচে একই বছরে ৫ বা তার বেশি শতরানের নজির গড়লেন শুবমান। এ বছরের শুরু থেকেই তিনি অসাধারণ ফর্মে। ওডিআই বিশ্বকাপে এই ফর্ম বজায় থাকলে ভারতীয় দলের চিন্তা থাকবে না। এর আগে বিরাট কোহলি ২০১২, ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ওডিআই ফর্ম্যাটে ৫ বা তার বেশি শতরান করেন। রোহিত শর্মা ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে এই নজির গড়েন। সচিন তেন্ডুলকর ১৯৯৬ ও ১৯৯৮ সালে ওডিআই ফর্ম্যাটে ৫ বা তার বেশি শতরান করেন। ভারতীয় দলের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড় ১৯৯৯ সালে ওডিআই ফর্ম্যাটে ৫ বা তার বেশি শতরানের নজির গড়েন। ২০০০ সালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং ২০১৩ সালে শিখর ধাওয়ান এই নজির গড়েন।
এদিন শ্রেয়াস ও শুবমানের জুটিতে যোগ হল ২০০ রান। ওডিআই ফর্ম্যাটে যে কোনও উইকেট জুটিতে এটি ভারতের চতুর্থ সর্বাধিক স্কোর।
আরও পড়ুন-
ICC Men's Cricket World Cup 2023: দেশবাসীকে ফের গর্বিত হওয়ার সুযোগ দিতে পারবেন, আশায় রাহুল
Mohammed Shami : মিচেল মার্শের উইকেটই সবচেয়ে বেশি আনন্দ দিয়েছে, বললেন মহম্মদ সামি