২০১৬ রিও অলিম্পিকে দেখেছিল ভারতীয় নারী শক্তির জয়জয়কার। সাক্ষী মালিক, পিভি সিন্ধু ভারতকে এনে দিয়েছিলেন পদক। তাঁদের পাশাপাশি আরও এক ভারতীয় কন্যা ইতিহাস তৈরি করেছিলেন। তিনি দীপা কর্মকার। পদক জয়ের থেকে একটু দুরে শেষ হয়েছিল দীপার সফর। তবে জিমন্যাসটিক্সেও যে ভারত অলিম্পিক পদকের দাবি জানাতে পারে সেটা দেখিয়েছিলেন দীপা। ত্রিপুরার মেয়ের প্রদুনোভা ভল্ট ঝড় তুলেছিল ভারতে। রিও থেকে দেশে ফিরে, ভারতীয় জিমন্যাস্টিকসের রাণীর তকমাই পেয়েছিলেন দীপা। তবে রিও’র সেই ফর্ম তারপর আর ধরে রাখতে পারেনি ত্রিপুরার মেয়ে। চোট বড় থাবা বসিয়েছে দীপার কেরিয়ারে।
আরও পড়ুন - যোগাসনে এশিয়া সেরা মানকুণ্ডুর সৃজা, আরও বড় স্বপ্ন দেখছে দশ বছরের মেয়ে
চোটের জন্যই আগামী বছর টোকিও অলিম্পিকে দীপার অংশগ্রহণের সম্ভাবনাও কার্যত শেষ। এমনটাই মনে করছেন দীপা কর্মকারের কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী। তাঁর মতে দীপার চোট থেকে সেরে উঠতে আরও অন্তত দু’মাস সময় লাগবে। আগামী মাসেই জার্মিনিতে এফআইজি বিশ্ব আর্টিস্টক জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপ। সেই প্রতিযোগিতা থেকে অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ ছিল দীপার সামনে। কিন্তু চোটের জন্য সেই প্রতিযোগিতায় নামা হচ্ছে না ত্রিপুরার মেয়ের। পাশাপাশি এই প্রতিযোগিতার জন্য সোমবার ট্রায়াল ডাকা হয়েছিল ভারতীয় জিমন্যাস্টিকস ফেডারশেনর পক্ষ থেকে। শনিবারই এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ফেডারেশন। ভারতীয় জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশেনর এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ দীপার কোচ। বিশ্বশ্বর বলছেন, ‘দীপার চোট একটা অন্য বিষয়, কিন্ত এভাবে ট্রায়াল ডাকা যায়? শনিবার বিকেলে একজন জিমন্যাস্ট জানতে পারছেন সোমবার সকাল আটটায় দিল্লিতে তার ট্রায়ল। নিজের শহর থেকে দিল্লি পৌছেতে যে সময় প্রয়োজন সেটাও ঠিক মত দেওয়া হল না জিমন্যাস্টদের। পাশাপাশি যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে তাতে সই নেই সাইয়ের আঞ্চলিক প্রধানের।’ ভারতীয় জিমন্যাস্টিক ফেডারেশনের এহেন অপেশাদার আচরণে ক্ষুব্ধ বিশ্বেশ্বর নন্দী। ফেডারেশন কর্তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করাও চেষ্টাও করেছিলেন বিশ্বেশ্বর, কিন্তু কোনও উত্তর পাননি।
আরও পড়ুন - ছয় বছরে পাঁচবার, আবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পঙ্কজ আডবাণী
আগামী মাসে জার্মানির প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পারেল কি আর কোনও সুযোগ থাকবে না দীপা কর্মকারের সামনে। সুযোগ যে নেই সেটা নয়, কিন্তু যে সুযোগ আছে সেটা কিছুটা হলেও অবাস্তব। কারণ এরপর তিনটি বিশ্বকাপের আসর বসবে, এবং তিনিটেই সোনা জিততে পারলেই একমাত্র দীপাকে দেখা যেতে পারে টোকিওতে। দীপার কোচ বলছেন, আশা ছাড়ছেন না, কিন্তু কাজটা প্রায় অসম্ভবের সামিল। চোট থেকে ফিরে পরপর তিনটি বিশ্বকাপে সোনার পজক জেতাটা মিরাকেলের মত। তাই টোকিওর কথা ভুলে এখন থেকেই বিশ্বশ্বর দীপাকে নিয়ে ২০২৪ অলিম্পিকের প্রস্তুতি শুরু করতে চান।
আরও পড়ুন - অলিম্পিকের সোনার জন্য ক্যাবিনেটে জায়গা ফাঁকা, বলছেন পিভি সিন্ধু