সংক্ষিপ্ত
রবিবার রাতে বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামল আর্জেন্টিনা। ৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে আরও একবার মেসি ম্যাজিকের সাক্ষী থাকল গোটা বিশ্ব। ম্যাচের প্রথমার্ধেই গোলের সুযোগ মিস করেননি লিও।
আজ থেকে ১৮ বছর বছর আগে বার্সেলোনা ক্লাবের হয়ে প্রথম পেশাদার ম্যাচ খেলতে নামেন মেসি। তখনও কেউ ভাবতে পারেননি মেসি একদিন মারাদোনার গোল সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যাবেন। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে একের পর এক ম্যাচে মেসির বাঁ পায়ের জাদু দেখেছে বিশ্ববাসী। একে একে দিন পেরিয়ে ফুটবল জীবনের সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে রেকর্ড গড়লেন মেসি। জীবনের ১০০০তম ম্যাচে বিশ্বকাপে ফুটবল কিংবদন্তি মারাদোনার গোল সংখ্যাকে ছাপিয়ে গেলেন লিওনেল মেসি। ২০২২ সালের বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গোল বিশ্বকাপে মেসির গোল সংখ্যা দাঁড়ায় ৯। বিশ্বকাপে মোট ২১টি ম্যাচ খেলে মারাদোনার মোট গোল সংখ্যা ৮। দিনটি স্মরণীয় হওয়ার আরও একটি কারণ হল এই ম্যাচের সঙ্গেই মেসি পেশাদারি ফুটবল জীবনের ১০০০টি ম্যাচ খেললেন।
রবিবার রাতে বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামল আর্জেন্টিনা। ৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে আরও একবার মেসি ম্যাজিকের সাক্ষী থাকল গোটা বিশ্ব। ম্যাচের প্রথমার্ধেই গোলের সুযোগ মিস করেননি লিও। মেসির বাঁ পায়ের জাদুতে ফের একবার জ্বালে বল জড়ালো আর্জেন্টিনার। এদিন ম্যাচের ৩৫ মিনিটে মেসির গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এরপর প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। ৫৭ মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন জুলিয়ান আলভারেজ। ৭৭ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার ক্রেগ গুডউইনের শট এনজো ফার্নান্ডেজের গায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। প্রথমে গুডউইনের গোল বলা হলেও, পরে আত্মঘাতী গোল বলে জানায় ফিফা। ব্যবধান কমানোর পর সমতা ফেরানোর জন্য অনেক চেষ্টা করে সকারুজরা। কিন্তু নিকোলাস ওটামেন্ডিরা সতর্ক ছিলেন। ফলে বাকি সময়টা গোল না খেয়ে কাটিয়ে দেয় আর্জেন্টিনার রক্ষণ। মেসি-লটারো মার্টিনেজরা ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাঁদের পক্ষেও আর গোল করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে ৩ টি ম্যাচে একটি গোল করেছিলেন মেসি। তারপর ২০১০ সালে ক্ষরা। বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচে খেলেও একটিও গোল করতে পারেননি মেসি। তাঁরপর ২০১৪ সালে ৭টি ম্যাচে ৪টি এবং ২০১৮ সালে ৪ ম্যাচে ১টি গোল করেছিলেন লিও। এবার ২০২২ সালের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচেই ২টি গোল করেছেন লিওনেল মেসি। এর আগেই দিয়েগোর গোল সংখ্যাকে স্পর্শ করেছিল মেসি। মেক্সিকোর বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। এই ম্যাচের ফলাফই ঠিক করবে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ভবিষ্যৎ। প্রথমার্ধে গোল আসেনি। দ্বিতীয়ার্ধেও বেশ চাপে দল। কিন্তু ম্যাজিক হল ম্যাচের ৬৪ মিনিটের মাথায়। মেসি ম্যাজিক। ফের একবার জ্বলে উঠল লিও বিখ্যাত বাঁ পা। ছুরির ফলার মত গোল। গোটা স্টেডিয়াম ফেটে পড়ল চিৎকারে। দোহার ফ্যান পার্কে শুরু হয়ে গেল মেসি-মেসি চিৎকার। মাটি ঘেষা শটে জাদু করলেন লিও। এই এক গোলেই নতুন জীবন পেল আর্জেন্টিনা। এবারের বিশ্বকাপে এটাই মেসির দ্বিতীয় গোল। এই গোল করে দিয়েগো মারাদোনাকে ছুঁলেন লিও। ছুঁয়ে ফেললেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকেও। বিশ্বকাপে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে এক গোল করে বিশ্বকাপে মেসির মোট গোল সংখ্যা হল ৮।
আরও পড়ুন -
বিশ্বকাপে গোলসংখ্যায় মারাদোনাকে টপকালেন মেসি, সহজেই কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা
২৪ বছর পর বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস টক্কর
১০০০ ম্যাচে ৭৮৯ গোল, কাতারে ট্রফির লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন অপ্রতিরোধ্য মেসি