সংক্ষিপ্ত

চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন কেমো থেরাপিতে কাজ সার দিচ্ছেন না কিংবদন্তি ফুটবলার। ব্রাজিলের পক্ষ থেকে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরই ইস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে নিজের বিশ্ববাসীকে বার্তা দিলেন তিনি।

প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে নামতে চলেছে ব্রাজিল। শুরু থেকেই দূরন্ত ফর্মে দেখা গিয়েছে তাঁদের। ব্রাজিলের খেলা ঘিরে উল্লাস সমর্থকদের মধ্যে। এরই মাঝে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ফুটবল সম্রাট। অবস্থার ক্রম অবনতি হচ্ছে পেলের। চিকিৎসায় সারা দিচ্ছেন না তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন কেমো থেরাপিতে কাজ সার দিচ্ছেন না কিংবদন্তি ফুটবলার। ব্রাজিলের পক্ষ থেকে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরই ইস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে নিজের বিশ্ববাসীকে বার্তা দিলেন তিনি।

৪ ডিসেম্বর সকালে পেলের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল থেকে একটি পোস্ট করা হয়। পোস্টে লেখা হয়,'প্রিয় বন্ধুরা। আমি চাই সবাই শান্ত থাকুন। ইতিবাচক থাকুন। আমি যথেষ্ট শক্ত এবং দৃঢ়ভাবে চিকিৎসকদের কথা মেনে চলছি।' পাশাপাশি তিনি গোটা মেডিক্যাল টিমকে ধন্যবাদ জানিয়ে লেখেন,'আমি আমার চিকিৎসক এবং নার্সদের ধন্যবাদ জানাব, তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সেবার জন্য।' এখানেই শেষ নয় গোটা বিশ্ববাসীর প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি লেখেন,'আমার ঈশ্বরের উপর এবং আপনাদের ভালোবাসার উপর পূর্ণ আস্থা আছে। বিশ্বে বিভিন্ন কোণ থেকে আসা অগাধ ভালোবাসা আমাকে রোজ আরও শক্তিশালি করে তোলে। এবং অবশ্যই বিশ্বকাপে ব্রাজিলের খেলা আমাকে রোজ শক্তিশালি করে তুলছে।'

 

View post on Instagram
 

 

মঙ্গলবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় পেলেকে সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সময় জানানো হয়, পেলের সারা শরীর ফুলে গিয়েছে এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা আছে। পেলের পরিবারের পক্ষ থেকে অবশ্য তখন দাবি করা হয়, আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। চিকিৎসা চলছে, এই কিংবদন্তি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পেলের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। পেলের মেয়ে কেলি ন্যাসিমেন্টো জানান, তাঁর বাবার শারীারিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। কিন্তু তারপরেই পেলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হল। এখন তাঁকে 'প্যালিয়েটিভ কেয়ার'-এ রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যে রোগীদের শারীরিক অবস্থার অত্যন্ত অবনতি হয়, যাঁদের রোগ অত্যন্ত জটিল এবং যাঁদের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তাঁদেরই 'প্যালিয়েটিভ কেয়ার'-এ রাখা হয়।