ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে সারা বিশ্বে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছে বিশ্ব। আরব দুনিয়া প্যালেস্টাইনের পাশে দাঁড়িয়েছে, বাকিরা ইজরায়েলের পাশে আছে।
অবিলম্বে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ থামানোর আর্জি জানালেন লিভারপুল ও মিশরের তারকা ফুটবলার মহম্মদ সালাহ। তিনি গাজার মানুষের জন্য ত্রাণ পাঠানোর আর্জিও জানিয়েছেন। সারা বিশ্বের মানুষকে গাজার পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন সালাহ। তিনি নিজেও আর্থিক সাহায্য করার কথা জানিয়েছেন। এই ফুটবলার মোট কত অর্থ দান করেছেন সেটা জানা যায়নি। তবে তিনি ইজিপশিয়ান রেড ক্রিসেন্টের মাধ্যমে অর্থসাহায্য করেছেন বলে জানা গিয়েছে। মিশর সরকারের পক্ষ থেকেও গাজার মানুষকে সাহায্য করা হচ্ছে। জাতীয় দলে সালাহর সতীর্থরাও গাজার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সারা আরব দুনিয়াই ইজরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গাজাকে সাহায্য করছে।
এতদিন ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ না খোলায় সমালোচনার মুখে পড়েন সালাহ। সেই সমালোচনা থামাতেই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে যুদ্ধ থামানোর আর্জি জানিয়েছেন সালাহ। তিনি রাষ্ট্রনেতাদের উদ্দেশে আর্জি জানিয়েছেন, নিরপরাধ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা বন্ধ হোক এবং অবিলম্বে গাজার মানুষকে সাহায্য করা হোক। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সালাহ লিখেছেন, ‘এরকম সময়ে কথা বলা সবসময় সহজ নয়। অত্যধিক হিংসা দেখা যাচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত হৃদয়বিদারক বর্বরতা দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি যে মাত্রায় হিংসা বেড়ে গিয়েছে, সেটা সহ্য করা সম্ভব হচ্ছে না। সবাই অত্যন্ত আশঙ্কিত। সবার জীবন রক্ষা করতে হবে। হত্যা বন্ধ করতেই হবে। বহু পরিবারকে ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এটা এখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, গাজায় অবিলম্বে মানবিক ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দিতে হবে। গাজার মানুষ খুব খারাপ অবস্থায় আছেন। হাসপাতালের দৃশ্য ভয়াবহ। গাজার মানুষের অবিলম্বে খাবার, পানীয় জল ও চিকিৎসার সামগ্রী দরকার। বিশ্বনেতাদের আমি বলছি, সবাই এগিয়ে আসুন এবং নিরপরাধ মানুষের হত্যা ঠেকান। মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করতেই হবে।’
এরই মধ্যে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, মিশর থেকে গাজায় সীমিত ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এই ঘোষণায় কিছুটা স্বস্তিতে গাজার মানুষ। তাঁরা আশা করছেন এবার খাবার, পানীয় জল, ওষুধ পাবেন। গাজার আল-আহলি হাসপাতালে হামলা নিয়ে সারা বিশ্বে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। এরপরেই গাজায় ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দিল ইজরায়েল সরকার। ৭ অক্টোবর হামাস অতর্কিতে হামলা চালানোর পরেই গাজায় জল, বিদ্যুৎ, খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইজরায়েল। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন গাজার মানুষ। অনেক পরিবারই দিনে একবারের বেশি খাবার পাচ্ছে না। পানীয় জলের অভাবও প্রচণ্ড।
আরও পড়ুন-
Ronaldinho: 'কলকাতার ভালোবাসা পেয়ে আপ্লুত,' সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট রোনাল্ডিনহোর