লকডাউনের জেরে যখন বন্ধ অন্যান্য বড় বড় ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান তখন সেই অবস্থাতেই তৎপর ছিল জাপান ক্যারাটে এসোসিয়েশনের কলকাতা শাখা। করোনা সংক্রমণের জেরে যখন বন্ধ সমস্ত "দোজো" কিংবা ক্যারাটে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। জাপান ক্যারাটে এসোসিয়েশনের কলকাতা শাখার চেয়ারম্যান সোমনাথ পালচৌধুরী দাবি করেছেন যে মার্চ মাস থেকেই তারা উপলব্ধি করেছিলেন পারস্পরিক সহায়তায় ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েভের মাধ্যমে পরিচালিত সভা অথবা সেমিনারের গুরুত্ব। সঙ্গে সঙ্গে তারাও এটাও বুঝতে পেরেছিলেন যে এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্ভবত সকল প্রশিক্ষণরত ছাত্র ছাত্রীদের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হবে না। এই ব্যাপারে তারা পরামর্শ নেন সংস্থার অন্তর্গত আই-টি বিদ্যায় পারদর্শী লোকেদের। তারাই অনলাইনে ক্যারাটে ক্লাসে প্রশিক্ষণ কেমন হওয়া উচিত, মোবাইলের অবস্থান কেমন হওয়া উচিত সেই সমস্ত ব্যাপারে প্রশিক্ষকদের বুঝিয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ'দাদাকে খোঁচা দিলে সময় মতো পাল্টা ঠিক ফেরৎ পাবেন'
সংস্থার বেশিরভাগ প্রশিক্ষকই উচ্চশিক্ষিত। তাই অনেকরকম ভাবে এই প্রশিক্ষণ গুলি আয়োজন করা গিয়েছে। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন থেকে শুরু করে ভিডিও ক্লাসের মাধ্যমে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ সবই আয়োজন করতে পেরেছে জেকেএ-এর কলকাতা ব্রাঞ্চ। তাদের ৭০% শতাংশর বেশি ছাত্রদের কাছে এই পরিষেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন এবং যাদের কাছে অনলাইন ক্লাস-গুলির মাধ্যমে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি তাদের কাছে ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপের আকারে প্রশিক্ষকদের নির্দেশ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, জানিয়েছেন সোমনাথ পালচৌধুরী।
আরও পড়ুনঃইষ্টবেঙ্গল কী এই বছর আদৌ আইএসএল খেলবে,এআইএফএফ সচিবের মন্তব্যে জল্পনা
আরও পড়ুনঃবিসিসিআইয়ের অন্তবর্তীকালীন সিইও নির্বাচিত হলেন হেমাঙ্গ আমিন
জেকেএ-এর কলকাতা শাখার এই সকল উদ্যোগ নজর এড়ায়নি বিশ্বের বৃহত্তম ক্যারাটে সংস্থার। তাদের তরফ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সোমনাথ পালচৌধুরী এবং দিব্যেন্দু মন্ডলকে, তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার উদ্দেশ্যে। জাপান ক্যারাটে এসোসিয়েশনের টোকিওর হেডকোয়ার্টার থেকে কলকাতার শাখা কে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার আয়োজনও করতে বলা হয়েছে। সোমনাথ পালচৌধুরীর মতে এখন তাদের শাখার প্রশিক্ষক-রা এই সমস্ত চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য একদম প্রস্তুত।