
বয়স ৪০ পেরিয়েছে। চোটের কারণে এক বছর টেনিস কোর্টের বাইরে। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন আর হয়তো কোর্টে ফেরা হবে না। টেনিসের জন্য যে ফিটনেসের দরকার হয় সেটা এই বয়সে এসে সম্ভব নয়। কিন্তু তার সম্পর্কে সব ধারণাকে বরাবরই ভুল প্রমাণ করে এসেছেন তিনি। দীর্ঘ টেনিস কেরিয়ারে জিতেছেন ২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম। টেনিস কোর্টকে দীর্ঘ বছর শাসন করেছেন তিনি। নামটা যে তার সেরেনা উইলিয়ামস। উইম্বলডনের মঞ্চে চোট সারিয়ে ফিরলেন তিনি। ম্যাচ না জিততে পারলেও নিজের খেলা দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন এখনও ফুরিয়ে যাননি তিনি। ফিটনেসেরও নেই কোনও অভাব। কোর্ট জুড়ে দৌড়ে দাপটের সঙ্গে খেললেন। শুধু দীর্ঘ দিন প্রতিযোগিতামূলক টেনিসের বাইরে থাকার ফলে ছন্দটা খুঁজে পাওয়ার অপেক্ষা। তাই উইম্বলডনের প্রথন রাউন্ডে হেরে বিদায় নিলেও দিয়ে গেলেন ঘুড়ে দাঁড়ানোর বার্তা।
এক বছর আগে এই উইম্বলডনের সেন্টার কোর্ট কাঁদতে কাঁদতে ছেড়েছিলেন সেরেনা। ২০২১-এ প্রথম রাউন্ডে আলিয়াকসান্দ্রা সাসনোভিচের বিরুদ্ধে ম্যাচে গোড়ালি মচকে যায় সেরেনার। চোটের কারণে খেলা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। একবছর পর চোট সারিয়ে উইম্বলডনে ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি নিয়ে ফেরেন সেরেনা। তার কাছে হার মানে চোট ও বয়স। উইম্বলডন ২০২২-এর প্রথম রাউন্ডে তার প্রতিপক্ষ ছিল ফ্রান্সের হারমনি ট্যান। ৩ ঘণ্টা ১০ মিনিটের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ৫-৭, ৬-১, ৬-৭ (৭-১০) গেমে হার মানলেন সেরেনা উইলিয়ামস। শুরুতে ট্যানের বিরুদ্ধে সেরেনার খেলা দেখে মনে হয়নি তিনি হেরে যাবেন। চেনা আগুনে সব স্ম্যাশে দর্শকদের উদ্বেল করে দিয়েছিলেন টেনিসের কিংবদন্তি। রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিলে সেরেনা ও ট্যানের। কিন্তু শেষ পর্যন্ট ট্যানের কাছে হার মানতে হয় সেরেনাকে। প্রথম সেটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ৫-৭ ব্যবধানে হারেন সেরেনা। দ্বিতীয় সেট ৬-১ ব্যবধানে জিতে নেন সেরেনা। তৃতী সেট গড়ায় টাইব্রেকারে। ৬-৭ (৭-১০) গেমে জিতে নিন হারমনি ট্যান। কিংবদন্তীকে হারিয়ে ফরাসী টেনিস তেরকার উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মত।
এই হারের পর ফের একবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করে এবার কী টেনিসকে বিদায় জানাবেন সেরেনা উইলিয়ামস। ম্য়াচের পর এই প্রশ্নের উত্তরে সাতবারের উইম্বলডন বিজয়ী বলেন, এর জবাব আমি দিতে পারব না। কে বলতে পারে, আমি তো আবার ঘুরে দাঁড়াতেই পারি। একইসঙ্গে এরপর যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে খেলারও আভাস দিয়ে রেখেছেন সেরেনা। সেরানা বলেন,'দেখুন যুক্তরাষ্ট্র ওপেন থেকে আমি প্রথম স্ল্যাম জিতেছিলাম। এই টুর্নামেন্ট আমার কাছে সুপার স্পেশ্যাল। ঘরের মাটিতে খেলার জন্য আমি প্রচণ্ড মোটিভেটেড। এই মুহূর্তটা উপভোগ করছি আমি। দেখি কী অনুভূতি হয়। কে জানে কোথায় গিয়ে দাঁড়াব'। ফলে সেরেনার বক্তব্য থেকে এটুকু পরিষ্কার যে ইউএস ওপেনে তাকে খেলতে দেখা যাবে।
আরও পড়ুনঃপ্রকাশ্যে চলবে না উদ্দাম যৌনতা, উইম্বলডনে কঠোর নিয়ম জারি স্থানীয়দের