করোনাভাইরাসের 'নিঃশব্দ বাহক' শিশুরা, নতুন সমীক্ষায় মিলেছে আরও চমকপ্রদ তথ্য

  • করোনাভাইরাস ছড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ শিশুদের ভূমিকা 
  • ১৯২ জনের ওপর সমীক্ষা করা হয়েছিল 
  • উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য 
  • শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হয়েছে

Asianet News Bangla | Published : Aug 20, 2020 2:45 PM IST

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে নতুন এক গবেষণা ঘিরে রীতিমত উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এতদিন বিজ্ঞানীরা দাবি করে আসছিলেন যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে শিশুদের ভূমিকা তেমন থাকে না। কিন্তু নতুন গবেষণায় সম্পূর্ণ উল্টো তথ্য হাতে এসেছে গবেষকদের। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন কোভিড-১৯  ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শিশুরা।  এক বিজ্ঞানীর কথায় শিশুরা নিঃশব্দ করোনার বাহক। 

পেডিয়াট্রিস্ক জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ১৯২ জনের মধ্যে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল যাদের বয়স ০-২২ বছর ছিল। সেই সমীক্ষার ফল অনুযায়ী ৪৯ জন করোনা আক্রান্ত শিশু ছিল। যাদের মধ্যে ১৮ জনের শরীরে করোনার লক্ষ্ণণগুলি অনেকটাই পরে ধরা পড়েছিল। 

আইসিইউতে থাকা করোনা আক্রান্ত প্রাপ্ত বয়স্কদের তুলনায় শিশুরা এয়ারওয়েতেও জীবাণু বেশি পরিমাণে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম। ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের গবেষক দলের প্রধান লায়েল ইয়োনকার জানিয়েছেন যেকোনও বয়সের করোনা আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে প্রথম দুদিনের মধ্যেই ভাইরাসটি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া গেছে। যা তাঁরা কখনই আশা করেননি। তিনি আরও বলেছেন হাসাতালে ভর্তি প্রাপ্ত বয়েস্ক রোগীরা যে পরিমাণে সংক্রমিত করতে পারে তার থেকে অনেক বেশি সংক্রমিত করতে পারে একজন সুস্থ শিশু, যার দেহে করোনার জীবাণু রয়েছে। সেই শিশুটি ঘুরে ফিরে বেড়ালেও সংক্রমণ ছড়িয়ে দিয়ে রীতিমত সক্ষম বলেই দাবি করেছেন চিকিৎসক। 

উল্কার মধ্যেই করোনাভাইরাস ছিল বলে দাবি বিক্রমসিংহের, মহাজাগতিক উৎসের তত্ত্ব বিজ্ঞানীদের .

উত্তরাখণ্ড সীমান্তে সক্রিয় লাল ফৌজ বাড়াচ্ছে নজরদারি, সতর্ক করল গোয়েন্দারা

পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন একটি শিশু করোনার লক্ষণগুলি রীতিমত শৈশবকালীন অসুস্থতা যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা, সর্দি দিয়ে কাটিয়ে উঠতে পারে। গবেষকদের কথায় প্রাপ্তবয়স্কোদের মত একটি করোনাভাইরাসের আক্রান্ত একটি শিশুর গুরুতর আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তবে শিশুরা লক্ষণবিহীন বাহক হিসেবে রীতিমত ভয়ঙ্কর। তারা এটি বাড়িতে এনে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম। তবে এই বিষয়টি আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 
 

সকাল থেকেই নাজেহাল জিমেলের গ্রাহকরা, সমস্যা সমাধানে তৎপর বলে জানাল গুগুল ..

Share this article
click me!