করোনাভাইরাসের উৎস সন্ধানে এখনও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়কটিদেশ চিনকেই দায়ি করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। বেশ কয়েকটি দেশের আবার দাবি চিনের উহানের গবেষণাগারেই তৈরি করা হয়েছে করোনার জীবাণু। কিন্তু তারই মধ্যে চন্দ্র বিক্রমসিংহে ও তাঁর দলের সদস্যরা দাবি করলেন যে করোনার জীবাণু এসেছিল মহাকাশ থেকে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মহামারীর আকার নেওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০টি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন অ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্ট চন্দ্র বিক্রমসিংহে। ১৪ জুলাই প্রকাশিত গবেষণাপত্রে রয়েছে সর্বাধিক তথ্য। আর সেই তথ্য অনুযায়ী উঠে আসছে করোনার মহাজাগতিক উৎস তত্ত্বের কথা।
চন্দ্র বিক্রমসিংহে ও তাঁর দলের গবেষকদের দাবি একটি উল্কার মধ্যেই পৃথিবীতে এসেছিল করোনাভাইরাসের জীবাণু। তাঁরা আরও জানিয়েছেন গত ১১ অক্টোবর ২০১৯-এ পূর্ব চিনের সানগুয়ান শহরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে উল্কাপাত হয়েছিল। তাঁদের দাবি উল্কাটি ভঙ্গুর ও আলগাভাবে থাকায় কর্বনেসিয়াস উল্কা কয়েক লক্ষ জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া বহন করতে পারে। গবেষকরা জানিয়েছেন সানগুয়ান এলাকাটি উহান থেকে প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার দূরে। তবে এই পার্থক্যটি ঘুচিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁরা অনুমান করেছেন একটি আলাদা উল্কা উহানে গিয়ে গিয়েছিল। । তাঁদের দাবি উল্কাটি উহানের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে জমা হয়েছিল।
তবে তাঁদের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন একদল বিজ্ঞানী। তাঁদার দাবি করেছেন এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে মহাকাশে কোনও প্রাণ ভেসে বেড়ায়। পাশাপাশি উল্কার মধ্যে প্রাণ থাকে এমন কোনও প্রামানও এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
সকাল থেকেই নাজেহাল জিমেলের গ্রাহকরা, সমস্যা সমাধানে তৎপর বলে জানাল গুগুল ...
'আমেরিকানদের প্রয়োজন নেই করোনা প্রতিষেধক', জানিয়ে দিলেন মার্কিন বিশেষজ্ঞ
তবে বিক্রমসিংহেসহ মুষ্ঠিমেয় কিছু গবেষক দীর্ঘ কয়েকদশক ধরে দাবি করে আসছেন মহাজাগতিক ধুলোয় জীবনের কনা থাকে। আর সেগুলি বহন করে উল্কা বা ধুমকেতু। বিক্রমসিংহের শিক্ষক ছিলেন ফ্রেড হোয়েল। আর তিনি ছিলেন নিউক্লিওসিন্থেসিস তত্ত্বের জনক। নিউটন প্রোটন থেকে কী করে সমস্ত উপাদান কী করে নক্ষত্রের অন্দরে যায় তার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। তাঁরই শিষ্য বিক্রমসিংহে দীর্ঘ দিন ধরেই দাবি করে আসছেন যে ১৯১৮ সালে স্প্যানিসফ্লু বা চলতি বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণের উৎস পৃথিবী নয়। মহাবিশ্বই এই রোগের উৎস। তবে বিশ্বের একাধিক বিজ্ঞানী তাঁদের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন।