পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থাগুলিই প্রথম থেকেই তালিবানদের মদত দিয়েছিল। পরবর্তীকালে তাদের মদতেই আফগানিস্তান দখল করে তালিবানরা। সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার জন্য ভারতকে সাধুবাদ দিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসম্যান।
আফগানিস্তানে তালিবানদের সাফল্যের পিছনে সবথেকে বড়ভূমিকা কার ছিল- কাবুলের পতনের আট দিনের মধ্যেই সেই প্রশ্নই রীতিমত বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে গোটা বিশ্বজুড়়ে। যানিয়ে রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়েছে মার্কিন রাজনীতিতে। রিপাব্লিকান দলের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা তথা আইনসভার সদস্য বলেছেন আফগানিস্তানে তালিবানদের সাফল্যের পিছয়ে সবথেকে বড় আর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির। পাকিস্তানের এই ভূমিকাই আফগানিস্তানের মাটিতে অকথ্য বর্বরতা নিয়ে আসতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
কংগ্রেস ম্যান স্টিভি চাবট, 'ইন্ডিয়া কজেস'এর সহসভাপতি। রবিবার হিন্দু পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু ধর্মী সম্প্রদায়ের মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের ভয় পাওয়ার উপযুক্ত কারণও রয়েছে। তালিবানদের শাসনের ভয়াবহতার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। ভারত আগেই জানিয়েছিল আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দু আর শিখরা চাইতে তাদের ভারতে আশ্রয় দেওয়া হবে।
Shershaah: 'সিদ্ধার্থ-কিয়ারা ভালো',প্রেমিকা ডিম্পল চিমাকে নিয়ে অকপট বিক্রম বার্তার বাবা
Taliban: ভারতকে করিডোর করে আফগানিস্তান যাওয়ার উদ্যোগ, বাংলাদেশি যুবকদের রুখতে সতর্ক BSF
বধ্যভূমি আফগানিস্তানে আটকে কলকাতার নার্স, দেশে ফেরাতে আর্জি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে
এই বৈঠকে মার্কিন কংগ্রেসম্যান আরও বলেন, পাকিস্তান আর সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি প্রথম থেকেই তালিবানদের পাশে ছিল। উৎসহ যোগাত। শেষপর্যন্ত আফগানিস্তান দখলের প্রক্রিয়াতেও তালিবানদের সহযোগিতা করেছিল। পাকিস্তানও নিজের দেশের সংখ্যালঘু মানুষের ওপর নির্যাতন করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
রিপাব্লিকান নেতা আরও বলেন অপরহণ, জোর করে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করানো, অপ্রাপ্ত বয়স্ক হিন্দু মেয়েদের জোর করে বয়স্ক মুসলিম পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার মত ঘটনাগুলি প্রায়ই সামনে আসে। যা অত্যান্ত নিন্দনীয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তাঁর ভাষণে তিনি বলেন কয়েক লক্ষ হিন্দু মহিলা বর্তমান মার্কিন সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য হিন্দু মহিলা আমেরিয়া যায়। যা তাদের আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করে। কিন্তু এই উদারমনস্কতা শুধুমাত্র হিন্দুদেশগুলিতেই দেখা যায়। আর আমেরিকাও হিন্দুদের গ্রহণ করে নিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বৈষম্যের কোনও স্থান নেই। তবে বৈষম্য মেটানোর চেষ্টা করতে হবে সবাইকে।