আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে গোলাগুলি হত এক আফগান সৈন্য। ক্রমেই বাড়ছে আইএস জঙ্গিদের হামলার আশঙ্কা।
ফের মৃত্যু হল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সোমবার, বিমানবন্দরের উত্তর গেটে আচমকা কিছু অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারী হামলা চালায়। আফগান নিরাপত্তারক্ষী ও পশ্চিমী দেশের সেনাদের সঙ্গে তাদের গুলির লড়াই চলে। এতে এক আফগান নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন এবং আরও তিনজন আহত হয়েছেন বলে, টুইট করে জানিয়েছে জার্মান সেনাবাহিনী।
গত ১৫ আগস্ট তালিবানরা কাবুল দখল করেছিল। তারপর থেকে মার্কিন নাগরিক এবং মার্কিন মিত্র আফগান নাগরিকদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তালিবান সাসন থেকে পালাতে ইচ্ছুক হাজার হাজার মানুষও কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছেন। রবিবার, ২২ অগাস্টও কাবুল বিমানবন্দরে হুডো়হুড়ির কারণে সাতজন আফগান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল। এদিনের ঘটনা নিয়ে ১৫ অগাস্টের পর থেকে কাবুল বিমানবন্দরে মোট ২১ জনের মৃত্য়ু হল। তবে এদিন কারা এই হামলা চালালো, তা এখনও জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, রবিবারই মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসলামিক স্টেট সন্ত্রাসবাদীরা হামলা চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন। হাজার হাজার আমেরিকান এবং আফগান মিত্রদের সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আইএস জঙ্গিরা গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে মার্কিন নাগরিকদের আগে থেকে বিমানবন্দরে না আসার বিষয়ে সতর্কও করা হয়েছিল।
সালিভান বা অন্য কোনও পদস্থ মার্কিন সামরিক বা গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা এই হুমকি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য দেননি। তবে বর্তমান ও প্রাক্তন মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করছেন, হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোনও বিমানের ওড়া বা অবতরণের সময় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে শুরু করে বোমা ভর্তি ট্রাক নিয়ে হামলা বা বিমানবন্দরের বাইরে ভিড়ের মধ্যে আত্মঘাতী হামলাকারীকে দিয়ে আক্রমণ - সবই হতে পারে। গত কয়েক সপ্তাহে কাবুল এবং আফগানিস্তানের অন্যান্য প্রদেশে হাজার হাজার বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে তালিবানরা। তাদের মধ্যে ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিরাও ছিল। আফগানিস্তানের চলমান বিশৃঙ্খলাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে পারে তারা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।